শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় | তথ্যপ্রযুক্তি | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » বঙ্গবন্ধু’র ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।। লালমোহন বিডিনিউজ
বঙ্গবন্ধু’র ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ঢাকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা, স্বাধীন বাংলাদেশ এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা ছিল। এতো দূরদর্শিতা আর দিক-নির্দেশনা পৃথিবীর কোনও ভাষণে নেই।
শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা এই ভাষণের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেছিলেন। এত দূরদর্শিতা, দিক নির্দেশনা কোনও ভাষণে পাওয়া যায় না।’
এই ভাষণের পর থেকে আওয়ামী লীগের যে নির্দেশনা যেত তা বাঙালি অক্ষরে অক্ষরে পালনে করতো উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরপর থেকেই ইয়াহিয়ার শাসন বাংলাদেশে অচল হয়ে যায়। পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় মানুষ।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শাসনতন্ত্র রক্ষাসহ জাতির জীবনের প্রত্যেকটি অর্জনে আওয়ামী লীগ জড়িত। বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা দিয়েছিলেন ৬ দফা। তিনি এ ছয় দফা দিয়েই বসে ছিলেন না, তিনি এটা নিয়ে সারা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ফলে তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দেয়, তাকে ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাঙালিরা তার প্রতিবাদ করেছে। বাংলার ছাত্রসমাজ, বাংলার জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে বারবার।’
মানবতাবিরোধ, রাকাজার, যুদ্ধাপরাধীরা আর যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আর যাতে ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ না পায়- সে জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেনতায় বিশ্বাসীদের ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ার উদযাপন উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর আগে বেলা ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান।