রবিবার, ২৪ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি
ভোলায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি
ভোলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কর্মসুচি মোতাবেক নতুন বেতন কাঠামোতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্তরে বেতন বৈষম্যের অভিযোগ এনে তা দ্রুত নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে ভোলা জেলার কমিটির উদ্যোগে রোববার সকাল ১০টায় ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে৷ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন. বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ভোলা জেলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ,সাধারন সম্পাদক জনাব সিরাজুল ইসলাম,সহ- সাধারন সম্পাদক মো নিয়াজ মোরশেদ সহ ভোলা জেলার সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের নেতারা ।
ভোলা জেলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন ‘বেতন ও চাকরি কমিশনে অধিকার বঞ্চিত গণকর্মচারীদের কোনো প্রতিনিধি না রেখে নতুন বেতন কাঠামো ঠিক করায় আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। দ্রব্যমূল্যেও ঊর্ধ্বগতির এ বাজারে বর্তমান বেতন কাঠামোতে সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও অযৌক্তিক। এতে কর্মচারীরা চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। কর্মচারীদের মতামত ছাড়াই কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ সুযোগ নিশ্চিত করে নিজেদের স্বার্থে এ বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করেছেন। শুধু তাই নয়, অধিকার বঞ্চিত কর্মচারীরা আন্দোলন করেই যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড আদায় করেছিলেন, তা বাতিল করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে এই নতুন বেতন কাঠামোতে।’
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ভোলা জেলা সমন্বয় কমিটির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,সহ- সাধারন সম্পাদক মো নিয়াজ মোরশেদ বলেন,‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্যমূল্যে পুলিশের ন্যায় মানসম্মত রেশন প্রদান, শতভাগ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, সন্তানদের শিক্ষা ভাতা, টিফিন ভাতা, ঝুঁকি, পাহাড়ি ও দুর্যোগ ভাতা, জুডিশিয়াল ভাতা, সাজপোশাক ভাতা, বেতনের সঙ্গে প্রদানসহ অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ, পদবি পরিবর্তন করার দাবি করে আসছি। কিন্তু এতে সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। বরং নতুন বেতন কাঠামোতে চরম বৈষম্য করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছি।’