শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার উপর হামলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন।।লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার উপর হামলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. রাকিবুল হাসানের উপর বর্বরচিত হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাকিবের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেম। বৃহষ্পতিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বশির আহমেদের বিরুদ্ধে হামলার বিচারের দাবিতে এ সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। এ সময় তিনি মামলার ১৭ দিনে কোনো আসামীকে গ্রেফতার না করা ও উল্টো মামলা তুলে নিতে তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আহত রাকিবুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভোলা আলী নগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল হাসেম বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে ভোলা আলীনগর ইউনিয়নে তিনি ( আবুল হাসেম) মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। ওই নির্বাচনের সময় বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. বশির আহমেদের সাথে তার ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাকিবুলের বিরোধ হয়। ওই বিরোধের জের ধরেই গত ১৫ অক্টোবর ভোলার পিটিআই সংলগ্ন জেলা শিক্ষা অফিসের বারান্দায় চেয়ারম্যানের পালিত ক্যাডার বাহিনী হাবিবুল্লাহ সোহেল, ওমর ফারুক, রুবেল, শাহিন, জুয়েল কবির দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেমের অভিযোগ এ সময় তার ছেলেকে হত্যার উদ্দ্যেশে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে রেখে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর রাকিবুলের পিতা বাদী হয়ে হামলাকারি ৬ জনের বিরুদ্ধে ভোলা থানায় মামলা দায়ের করে।
তিনি আরও জানান, তার ছেলের উপর হামলাকারী আসামীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ প্রভাব খাটিয়ে আসামীদের গ্রেফতারে বাধা দিচ্ছে। এমনকি মামলা তুলে নেয়ার জন্যও বিভিন্ন লোকজন দিয়ে তাকে হুমকি ও মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে ভয় দেখানোসহ অশ্লীল ভাবে গালিগালাজ করছে। তাই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি এ ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবী করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বশির আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। হামলার দু’দিন আগে আলীনগরের একটি গ্রুপের সাথে রাকিবের ফেসবুক স্টাটাস নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। ওই ঘটনার রেশ ধরেই রাকিবের উপর হামলা হয়েছে। এখন কি জন্য আমার নাম বলে আমি নিজেও জানি না।
ভোলা থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, তারা আসামী গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তবে আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির আহমেদ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেন ওসি।