বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে এবার পুলিশ পরিবার ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে এবার পুলিশ পরিবার ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের ঘরে রাতের খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে অচেতন করে ঘরের যাবতীয় মূল্যবান মালামাল লুটে নিত অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ।
এমন ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটলে ও অজ্ঞান পার্টির কোন সদস্যকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি ।
অবশেষে মঙ্গলবার রাতে লালমোহন থানার এ এস আই ইউসুফ ও তার পাশ্ববর্তী ভাড়াটিয়া বাসা দালাল বাজার সেরাজিয়া মাদ্রাসা শিক্ষক মো: সামছুদ্দিন মিয়ার বাসায় খাবারে চেতনানামক মিশিয়ে চুরি করতে গিয়ে আটক হয় অজ্ঞান পার্টির দু্ই সদস্য ।
মঙ্গলবার রাতে পৌর ৪নং ওয়ার্ড আড়াই আনি সড়ক এ ঘটনা ঘটে।
অজ্ঞান পার্টির ধৃত এ সদস্যরা হলো, লালমোহন পৌর ৪নং ওয়ার্ড নয়ানীগ্রাম এলাকার রবিউলের ছেলে মোস্তফা (৪৫) ও বদরপুর ইউনিয়ন নাজিরপুর রায়রাবাদ গ্রামের মৃত আনছল হকের ছেলে আলাউদ্দিন (৩০)।
জানা যায়, আড়াই আনি সড়ক এলাকায় পরিবার সহ ভাড়া বাসায় থাকতেন লালমোহন থানার এ এস আই ইউসুফ ও মাদ্রাসা শিক্ষক সামসুদ্দিন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানা যায়, মঙ্গলবার রাত একটার দিকে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্য আলাউদ্দিন কে লালমোহন থানার এএসআই ইউসুফের ভাড়া বাসার ছাদে ঘুরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় ছালাউদ্দিন ও ইব্রাহিম নামের দুই যুবক।
তারা বিষয়টি ফোনে এএসআই ইউসুফকে জানালে, তিনি ছাদে উঠতেই ছাদ থেকে লাফিয়ে নিচে পরে আলাউদ্দিন।
এ সময় তাকে ঝাপটে ধরে প্রত্যক্ষদর্শী ছালাউদ্দিন ও ইব্রাহিম।
আটক আলাউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, খাবারের সাথে চেতনানাশক মেশানোর কথা স্বীকার করে সে এবং তার সহযোগী মোস্তফার নাম বলে।
পরবর্তীতে ঐ রাতেই উপজেলার সদর ইউনিয়ন ফুলবাগিচা গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোস্তফাকে ও আটক করে।
মুলত মোস্তফা এই দু’টি বাসার রান্না ঘরের জানালা দিয়ে তরকারীর পাতিলে চেতনানাশক মিশিয়ে লুটপাটের অপেক্ষা করছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে যাওয়ায় এবং প্রতিরোধের মুখে পরে আলাউদ্দিনকে রেখে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ কে জানায় ধৃত আলাউদ্দিন ।
চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে অসুস্থ অবস্থায় লালমোহন থানার এএসআই ইউসুফ (৩০),তার স্ত্রী শিরিনি আক্তার ২৫) ছেলে ইসরাইল (৮) এবং স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক সামছুদ্দিন (৪৫),তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩৭), ছেলে সিফাত (১৪) ও সাবিদ (১০) লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি বা লুটপাটের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
লালমোহন থানার ওসি হুমায়ন কবীর জানান, এ ব্যপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞান পার্টির সাথে আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকে ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।