মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে গ্রাহকের পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উদাও হায় হায় সংস্থা ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে গ্রাহকের পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উদাও হায় হায় সংস্থা ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : ভোলার লালমোহনে “এস কে এস” নামের রেজিষ্ট্রেশন বিহীন একটি হায় হায় সংস্থা উপজেলার আনুমানিক দইু শতাধিক গ্রাহকের প্রায় পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে উদাও হয়ে গেছে ॥
গ্রাহক ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লালমোহন পৌর ৬নং ওয়ার্ড লঞ্চঘাট এলাকার হাজী মো: সাখাওয়াত মিয়ার বাড়িতে ঘর ভাড়া নেয় এস কে এস নামের একটি সংস্থা । ছদ্দনামে কখনও মাইনুদ্দিন কখনও রানা সেঁজে এই অফিসের কর্মী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঋণ প্রদানের লক্ষে গ্রাহক সংগ্রহ করে । এভাবে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহক সংগ্রহ করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ভর্তি ফি এক/দুইশত টাকা ও বিভিন্ন অংকের ঋণ প্রদানের জন্য জামানত হিসেবে পাঁচ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে নিয়ে সকল গ্রাহক কে মঙ্গলবার সকালে ঋণ গ্রহনের জন্য লঞ্চঘাট অফিসে আসতে বলে অফিস তালা মেরে উদাও হয়ে যায় তারা।
সংস্থাটির প্রতারণার শিকার গ্রাহক নুর হোসেন, রহিম জাহাঙ্গীর, আকতার, ইদ্রিস, আবু তাহের, মোতাহার সহ উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউপি এলাকার আরো অনেক গ্রাহক বলেন, মাইনুদ্দিন নামের এক কর্মী আমাদের কাছ থেকে ঋণ দেয়ার কথা বলে পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছে ।
একই এলাকার বৃদ্ধা সাফিয়া ও তরুফা বেগম বলেন, মাইনুদ্দিন আমাদের কে কেন্দ্র সভাপতি বানিয়ে কেন্দ্রের প্রায় পনের সদস্যের ঋণ বাবদ পচাত্তর হাজার টাকা নিয়ে গেছে আমাদের কে যে মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে তাও বন্ধ ।
উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন আবাসন এলাকার প্রতারিত গ্রাহক জান্নাত বেগম বলেন, রানা নামের এক কর্মী আমাকে কেন্দ্র সভাপতি বানিয়ে সদস্যদের পচিশ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। কালমা ইউপি ৫ নং ওয়ার্ড চরছকিনা এলাকার আবদুল্লাহ জানান, আমার মাধ্যমে হওয়া দশ সদস্যের পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে তারা ।
সকাল থেকে থেকে এমন শত শত গ্রাহক লঞ্চঘাট এলাকায় এস কে এস নামের অফিসে এসে তালাবদ্ধ দেখে কপাল চাপড়াচ্ছে।
“এস কে এস” নামের ভাড়া অফিসটির মুল মালিক হাজী মো: সাখাওয়াত মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আমার কাছে থেকে ঘর নেয়ার কথা ছিল কিন্তু নেয়নি। তবে ভাড়া নেয়ার কথা বলে ৫শত টাকা দিয়ে গেছে ।
অফিসে ঝুলানো তালার চাবি কার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসের লোকের কাছে। ঘর ভাড়া দেননি তাহলে তাদের কাছে চাবি গেল কি করে? তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে, ঘর ভাড়া দেয়ার যাবতীয় নিয়ম কানুন না মেনে ঘর ভাড়া দিলেন কিভাবে? এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি ঘর মালিক হাজী মো: সাখাওয়াত মিয়া ।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শামসুল আরিফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই নামের অফিস সম্বন্ধে আমার জানা নেই তবে এখন শুনেছি । এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।
ঘর ভাড়া দেয়ার নীতি অনুসরন না করার ফলে এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ পায় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।