বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ভোলা | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় পরকিয়ার টানে স্বামী উদাও, বিচার পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ৪সন্তানের জননী।। লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় পরকিয়ার টানে স্বামী উদাও, বিচার পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ৪সন্তানের জননী।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড চন্দ্রিমা আবাসন এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের মেয়ে সালমা বেগমের (২৮) এর সাথে ভোলা শিবপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড এলাকার আ: খালেকের ছেলে মো: জামালের ২০০২ সালে পারিবারিক সুত্রে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর স্বামী স্ত্রী উভয়ে ঢাকা কল্যানপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো । সালমা বেগম গার্মেন্টস কর্মী ও তার স্বামী টাইলস মেস্তুরী ছিলেন । ২০১৪ সাল পর্যন্ত তাদের সুখের সংসারে ৪টি সন্তান জন্মগ্রহন করে।
হতভাগী সালমা জানান,একদিন আমার স্বামী গ্রামে এসে স্থায়ী বসবাস করার জন্য জমি কেনার উদ্দেশ্যে তার কাছে থাকা জমানো এক লক্ষ টাকা নিয়ে ভোলা শিবপুর তার (জামালের) নিজ বাড়িতে চলে আসে।
জমি কিনেছে সে, কিন্তু ভাড়া বাসায় ফেলে আসা স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ না নিয়ে নিজ এলাকার অপর আরেক বিবাহিতা মহিলার সাথে পরকিয়া স্থাপন করে সেখানেই থাকতে লাগল।
দীর্ঘদিন স্বামীর সাক্ষাত ও বাসার ভাড়ার চাপে পরে আমি সন্তানদের কে নিয়ে তার বাড়ি উপস্থিত হই । আমাকে দেখে সে ও আমার শাশুরী রহিমা বেগম বিভিন্ন ছলচাতুরি করে পুনরায় ঢাকা পাঠিয়ে দেয়।
কিন্তু জামাল ঢাকা আর না গিয়ে গ্রামের সেই পরকিয়া প্রেমিকাকে উদাও হয়।
ফলে বাসা ভাড়া ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচ নিয়ে দিশেহারা হয়ে যাই আমি। তাই কোনরকমে বাসার ভাড়া পরিশোধ সন্তানদের কে নিয়ে পুনরায় ভোলা শিবপুর স্বামীর বাড়ি যাই। কিন্তু আমার শাশুরী আমাকে ঘরে ঢুকতে না দিয়ে দুরদুর করে তারিয়ে দেয় ।
অবশেষে আমি লালমোহনে এসে আমার মায়ের কাছে আশ্রয় নেই ।
বর্তমানে সালমা তার তিন ছেলের দুজন কে স্থানীয় মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছে । দুজন পড়াতে সে হিমশিম খাচ্ছে বলে তার ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েকে শিক্ষাবঞ্চিত করতে হয়েছে বলে ও জানান সালমা ।
সালমা’র হতদরিদ্র মা জানান, ফুটফুটে এমন তিনটি ছেলে ও কিশোরী মেয়েকে ফেলে রেখে আরেক জনের বউকে নিয়ে চলে গেছে জামাল। আমি গরীব মানুষ, স্বামী নেই, যা দু ছেলে রয়েছে তারা রিক্সা চালায়। তারা নিজেদের সংসার দেখবে নাকি তাদের বোনের পাশে দাড়াবে ?
আর্থিক সমস্যার জন্য কোথাও বিচার প্রার্থী ও হতে পারছিনা ।
বদরপুর ইউপি সদস্য মো: ওলিউল্লাহ বলেন, আমি এ ব্যাপারে কথা বলতে ভোলা শিবপুর জামালের বাড়িতে গিয়েছিলাম । জামাল বাড়িতে নেই বলে আমাদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি তার মা। আমি বিষয়টি শিবপুরের চেয়ারম্যান ও জামালের এলাকার মেম্বার কে জানিয়েছি ।