সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিক্ষা | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে সরকারী নিয়ম অবজ্ঞা! বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং বাণিজ্য ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে সরকারী নিয়ম অবজ্ঞা! বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং বাণিজ্য ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,বিশেষ প্রতিনিধি : রাজধানীসহ সারা দেশে কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের তালিকা করছে দুদুক । অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে কাজ করছেন সরকারের এই সংস্থা ।
যেহেতু পরিপত্রের অনুচ্ছেদ ১৩ এর ঙ-তে উল্লেখ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জরিত থাকলে তার বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারী নীতিমালা ১৯৮৫ এর অধিন অসাদাচরনের কারনে শাস্তি মুলক ব্যাবস্থা গ্রহনের কথা থাকলেও এবং ২০১২ সালের জারিকৃত নীতিমালা এর প্রয়োগ না থাকায় ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের টনক নড়েনি । এই উপজেলার অলি গলিতে অহরহ চলছে বিশেষ ক্লাসের নামে এ বাণিজ্য। অভিভাবকদের সাথে আলাপকালে তারা ক্ষোভের সাথে জানান আমরা বাধ্য হয়ে আমাদের সন্তানদেরকে কোচিং বা প্রাইভেট এ দিচ্ছি শিক্ষকদের মন রক্ষা করার জন্য , এই সকল শিক্ষকদের নিকট প্রাইভেট বা কোচিং এ না পরলে নাম্বার কম দেয়া সহ বিভিন্ন হয়রানির স্বীকার হতে হয় । তারা আরো বলেন শ্রেনী কক্ষে পাঠদানে মনযোগী না হয়ে বরং তারা ছাত্রদেরকে কোচিং করার পরামর্শ দিয়ে থাকে । আর এই সুযোগ পেয়ে শিক্ষকরা তাদের নিজের প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কেউ বিদ্যলয়ের রুমে কেউ বা বাহিরে বাড়ী ভাড়া করে প্রায় এক থেকে দেরশ ছাত্রছাত্রী নিয়ে দোকান খুলে বসেন । সরেজমিনে জানা গেছে, প্রতি ছাত্র থেকে মাসে এক থেকে দের হাজার টাকা করে নিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেন অভিভাকদের থেকে । উপজেলার রায়চাঁদ উদয় চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জসিম মাষ্টারের পরিচালনায় , চতলা মাদ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি গিয়াস উদ্দিনের পরিচালনায় , চতলা করিমুন্নেছা মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় সহকারি শিক্ষক জামালের পরিচালনায় বিশেষ ক্লাসের নামে চলছে কোচিং বানিজ্য এবং চতলা করিমুন্নেছা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন (মহিম) এর শ্রেনী কক্ষে প্রাইভেট বাণিজ্য রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে । আর এই কারনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা ব্যাবস্থা ক্রমশ ভেঙ্গে পরছে । এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান যে , আমরা উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে চিঠি দিয়েছি কোচিং এর ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য । যে সব ইনডেক্সধারী শিক্ষক এ অপরাধের সাথে জরিত তাদের বিরুদ্দে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।