বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনের দেওয়ালকান্দির চোরা-আওলাদ, ইকবাল ও সামছুদ্দিনের যন্ত্রণায় এলাকাবাসী।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনের দেওয়ালকান্দির চোরা-আওলাদ, ইকবাল ও সামছুদ্দিনের যন্ত্রণায় এলাকাবাসী।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহন উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ালকান্দি গ্রাম। এ গ্রামের দেওয়াল বাড়ির দুর্ধর্ষ চোর আওলাদ, ইকবাল ও সামছুদ্দিন। জাল টাকার ব্যবসা থেকে শুরু করে, ছিনতাই, ডাকাতি, অজ্ঞান করে বাসা বাড়িতে লুট ইত্যাদি নানান অপকর্মের সাথে জড়িত এই তিন ভাই। থানা পুলিশের কাছেও তারা এসব অপরাধে চিịিত। জাল টাকাসহ একাধিকবার গ্রেফতার হয়েও জামিনে বেরিয়ে এসে আবার চালায় তাদের পেশা। তিন জনের নামেই এসব অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলার পাহাড় রয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। তাদের ভাই কাশেম ও তাইজদ্দীন একই পেশার সাথে যুক্ত ছিল। প্রায় তিন বছর আগে কাশেম সে জেল হাজতে মারা যায়। তাদের স্ত্রীরাও সমান সহযোগি। মঙ্গলবার লালমোহন ও তজুমদ্দিন আসনের এমপি আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন দেওয়ালকান্দি গ্রামে উঠান বৈঠকে গেলে এই তিন দুর্ধর্ষ চোরের বিস্তারিত তুলে ধরেন ওই বাড়ির লোকজন। তাদের অপকর্মের কারণে একটি এলাকাই দুর্ণামের খেতাবে ভূষিত। শেষ পর্যন্ত এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন থানা পুলিশকে এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য বলেন। নির্দেশ পাওয়ার পরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ই দেওয়াল বাড়ির চোরা সামছুদ্দিন ও তার স্ত্রী শাহানুর নামে দুইজনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। তাদেরকে থানায় দেখতে আসলে চোরা আওলাদের স্ত্রী ফাহিমাকেও আটক করেছে পুলিশ। সামছুদ্দিন ও ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সর্বত্র জাল টাকার ব্যবসা ও বিভিন্ন বাড়ীতে রাতের আধাঁরে সিঁধেল চুরি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সামছুদ্দিন ও তার স্ত্রী শাহানুর, চোরা আওলাদ, তার স্ত্রী ফাহিমা, তাইজুদ্দিন ওরপে তাজু চোরা ও তার স্ত্রী পারভিন ,ইকবাল ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম বিভিন্ন বাড়ীতে গিয়ে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য দিয়ে অচেতন করে সবকিছু লুট-পাট করে নিয়ে আসে। দীর্র্ঘদিন ধরে লালমোহনের সর্বত্র চলছে তাদের জাল টাকার ব্যবসা ও বাড়ী-ঘরে চুরির ঘটনা। জাল টাকার ব্যবসা ও চুরি করে ইতিমধ্যেই লাখপতি হয়ে গেছে এসব চোর দল। এদের ভয়ে আতংকিত রয়েছে এলাকাবাসী। এসব চোররা এলাকায় বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে। সামছুদ্দিন গংদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও আইনী ফাঁক ফোকরের মধ্যদিয়ে কিছুদিনপরই তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় এসে পুর্বের কাজ শুরু করে। কোন বাধাঁয় যেন তাদেরকে পিছপাঁ করতে পারে না। এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাদের স্ত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করে। মামলার ভয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। তাজু চোরার বিয়াই গজারিয়ার এক প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলছে না। চোরা আওলাদের স্ত্রী ফাহিমার বাবার বাড়ী লালমোহন সাতবাড়িয়া হওয়ার কারণে ফাহিমার ভাইয়েরা তাদেরকে সেল্টার দিয়ে আসছেন। ফাহিমা ইতিমধ্যে বাদী হয়ে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।