মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে এ কেমন বর্বরতা? মা ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে এ কেমন বর্বরতা? মা ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ: লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড রহিম আলী বেপারী বাড়ির মো: ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম (৪০) ও তার ষোড়সী কন্যা লিজা আক্তার কে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈদুল আজহার পরের দিন রবিবার বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে আপন চাচী, চাচাত বোন ও চাচাত ভাই মিলে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লালমোহন হাসপাতালের বেডে থাকা আমেনা বেগম বর্বরোচিত এ হামলার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, হামলাকারীরা আগে থেকেই খুব উচ্ছৃংখল । তারা তুচ্ছ যে কোন ঘটনায় আমাদের দিকে তেড়ে আসত । এমনি এক তুচ্ছ ঘটনায় তারা আমাদের উপর হামলার পরিকল্পনা করে । বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা ঘর থেকে পালিয়ে শশুরের ঘরে যাই । কিন্তু এদের ভয়ে ঘরে জায়গা দেয়নি শশুর । তাই আমরা পার্শ্ববর্তী আরেক বাড়িতে আশ্রয় নিই । পরবর্তীতে স্থানীয় চৌকিদার কাঞ্চন মিয়া আমাদের কে ঘরে পৌছে দিতে চাইলেন । এমন সময় পথিমধ্যে লতা বেগমের নেতৃত্বে তার দুই ছেলে জুয়েল, তানজিল, দুই মেয়ে শারমিন ও নাছরিন আমাদের উপর আক্রমন করে । তাদের ভয়ে সন্তানদের কে নিয়ে ঈদ পালন না করে পালিয়ে বেড়াতে গিয়ে ও রক্ষা পাইনি ।
এসময় শরিরের আঘাতের চিহ্ন দেখাতে গিয়ে আমেনা বেগম বলেন, তারা আমার ও আমার মেয়ের শরিরের প্রত্যেকটি অংগে আঘাত করেছে । আমি একজন মা হয়ে আর কিছু উচ্চারণ করতে পারলাম না ।
লিজা বলেন, তারা আমার চুলের মুঠি ধরে টেনে হেচড়ে গাছের সাথে বেঁধে মুঘুর দিয়ে মারধর করে । আশেপাশে লোকজন থাকলে ও কেউ তাদের ভয়ে বাঁচাতে আসেনি । তারা আমার মায়ের কানের স্বর্নের দুল ও গলার চেইন এবং আমার হাতে থাকা টাচ মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ।
চেড়া চুলের গুচ্ছ হাতে নিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে লিজা আরো বলেন, পালিয়ে থেকে ও এদের হামলা থেকে বাঁচতে পারিনি ।
নির্যাতনের শিকার আমেনা বেগমের স্বামী ইউসুফ বলেন, আমি ও আমার ভাই ফজলু মিয়া লালমোহন টু ঢাকাগামী কর্নফুলী ৩ লঞ্চে চাকরি করি । ঈদে আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না । সে সুবাদে আমার স্ত্রী ও কন্যা কে একা পেয়ে আমার ভাইয়ের স্ত্রী ও তার সন্তানরা এদের উপর হামলা করে । আমি এসকল হামলাকারী দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি ।
অপরদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় চৌকিদার কাঞ্চন মিয়া বলেন, ফজলু মিয়া আমাকে ফোন করে বললেন, হামলাকারীদের ভয়ে ওরা ( আমেনা বেগম ও লিজা) পালিয়ে আছে এবং তাদের উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়িতে পৌছে দিতে । আমি তাদের কে বাড়িতে পৌছানোর সময় পথিমধ্যেই ফজলু মিয়ার স্ত্রী, কন্যা ও ছেলেরা অতর্কিত হামলা চালায় । এমন বর্বরোচিত হামলা এর আগে কখনো দেখেনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আজাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি যে ইউসুফের স্ত্রী ও কন্যা কে মারধর করা হয়েছে ।
বদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ হোসেন তালুকদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই ।