
সোমবার, ১৮ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে মুসলেমিয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রধানের ছেলে সরকারী টিন সহ জনতার হাতে আটক
লালমোহনে মুসলেমিয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রধানের ছেলে সরকারী টিন সহ জনতার হাতে আটক
লালমোহন বিডি নিউজ ডেস্ক ঃ ভোলার লালমোহনে মুসলেমিয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রধানের ছেলে মাদ্রাসার টিন বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হন। গতকাল ১৮ মে সোমবার সকালে মাদ্রাসার সুপার মোস্তাফা কামাল বান্ডারীর ১০ম শ্রেনী পড়–য়া ছেলে গালিব ও ৭ম শ্রেনী পড়–য়া ছেলে আবির ১০ ফুটের ১২ খান টিন রিক্সায় করে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজনের হাতে ধরা পরলে তারা তাদের কে টিন সহ ফরাজগঞ্জের আনিচল মিয়ার হাটে আটক করে রাখে। ব্যাপক দুর্নীতি পরায়ন এই সুপার মাদ্রাসার ৯৬ হাত পুরাতন ঘরের মালামাল এভাবে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। তাছাড়াও তার বিরুদ্বে মাদ্রাসা প্রায় ৩ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করে আত্বসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি প্রতিষ্ঠানের গর্ভরনিং বডিকে কোন তোয়াক্কা না করে একের পর এক অনিয়ম করে গেলেও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার বিরুদ্বে কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ায় সে এখন অনেকটা বেপরোয়া হয়ে কাজ করছেন । এছাড়াও গত বছর মাদ্রাসার সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়াই শিক্ষকদের এক মাসের সরকারী বেতন লালমোহন রুপালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যান। এব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার মোস্তফা কামাল বলেন আমি আমার ছেলেদেরকে মাদ্রাসা থেকে টিন আনতে বলেছি। সরকারী টিন মাদ্রাসা থেকে এ ভাবে আনা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কোন দিতে পারেন নি। অন্যদিকে মাদ্রাসার সভাপতি আনিচল হক বলেন, সুপার এভাবেই প্রায় ৯৬ হাত পুরাতন ঘরের সকল মালামাল নিয়ে গিয়ে আত্বসাৎ করেন। তিনি আরো বলেন,এছাড়াও তিনি মাদ্রাসার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ১৫/২০ টি রেন্টি ও মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। খোজ নিয়ে জানাযায় লালমোহনের প্রাইমারী বিদ্যালয়ের আতংক ওয়ালামালীগ নেতা জামাল ওরফে স্কুলের ভবন ভাঙ্গা জামালের ক্ষমতার দাপটে এসকল অনিয়ম করে যাচ্ছে। সুপারের ভাই একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক জামাল এরই মধ্যে প্রায় কয়েক ডজ্জন প্রাইমারী বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় শতশত শিক্ষার্থী খোলা আকাশের নিচে বসে পাঠ দান করছে। তাদের এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্বে দ্রুত ব্যাবস্থ্যা না নিলে তারা আরো ব্যাপরোয়া হয়ে পরবে বলে সচেতন মহল মনে করে। বর্তমানে মাদ্রাসার টিন এলাকার শামিম মেম্বারের হেফাজতে আছে বলে বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।