বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ | শিরোনাম | সর্বশেষ » সিরাজগঞ্জে নদীর পানি বিপদসীমার ১৫২ সেন্টিমিটার উপরে।।লালমোহন বিডিনিউজ
সিরাজগঞ্জে নদীর পানি বিপদসীমার ১৫২ সেন্টিমিটার উপরে।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীতে পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে না বাড়লেও বিপদসীমার ১৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাটা এন্টি অপারেটর আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, যমুনা নদীর বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, ১৯৮৮ সালে জেলায় বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এটাই ছিল সর্বোচ্চ। এবার সেই সীমার চেয়েও ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি বাড়ায় জেলার ২৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ। এছাড়া গবাদি পশুর খাবার সংকট থাকায় বাড়তি দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে বানভাসিদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৪০ হাজার পরিবারের অন্তত আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে জেলার অভ্যন্তরে করতোয়া, ফুলজোর, হুরাসাগর ও চলন বিলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অনেকে বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার দুই হাজার হেক্টর ফসলের জমি।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্যাপ্রবন এলাকায় ঝুকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষায় সর্বক্ষণিক একজন ট্যগি অফিসার নিয়োগসহ গ্রাম পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচ উপজেলায় ১৭০ মেট্টিক টন চাল ও সাড়ে আট লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (শাখা কর্মকর্তা-১) রঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৭৮ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় চুয়ে চুয়ে পানি বের হচ্ছে। বাঁধের যেখানে সমস্যা ও ঝুকিপূর্ণ মনে করছি সেখানে বাঁশের পাইলিং ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছি। বাঁধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে।