বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় | জেলার খবর | তথ্যপ্রযুক্তি | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » নবম ওয়েজবোর্ড গঠনে প্রধানমন্ত্রী একমত - ওবায়দুল কাদের
নবম ওয়েজবোর্ড গঠনে প্রধানমন্ত্রী একমত - ওবায়দুল কাদের
লালমোহন বিডিনিউজ: সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর জন্য নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিগতভাবে একমত বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে একমত হয়ে নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করার জন্য বলেছেন। তিনি এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রীকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বলেছেন।
নবম ওয়েজবোর্ড গঠন নিয়ে মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিতর্কিত মন্তব্য করার পরদিন সেতুমন্ত্রী একথা বললেন।
ওয়েজবোর্ডের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের পথে মন্ত্রণালয় ৮০ ভাগ কাজ শেষ করেছে। ইতোমধ্যে বিচারপতি নিজাম উদ্দিনকে ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ঠিক করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থমন্ত্রী যাই বলুক না কেন, তিনিও আলোচনার দ্বার বন্ধ করে দেননি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সবার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ওয়েজবোর্ড গঠন করা হবে।
তিনি জানান, ওয়েজবোর্ড গঠনে সাংবাদিকদের সবপক্ষের প্রতিনিধি পাওয়া গেছে। শুধু সংবাদপত্রের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি পাওয়া যায়নি। ওয়েজবোর্ড কমিটিতে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি পাওয়া গেলে শিগগিরই নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হবে।
বুধবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়কের রাবনা মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এ সময় সড়ক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে টানা বর্ষণে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য যেখানে বগুড়া থেকে ঢাকা আসা যেত চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টায়, এখন প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। এতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখান থেকে জানিয়ে দিচ্ছি সড়ক ও জনপথের যত রাস্তা খারাপ অবস্থায় আছে সব রাস্তা আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সচল করতে হবে, ইউজেবল (ব্যবহারযোগ্য) করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্ষা মৌসুমে যেসব রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সেগুলো সারিয়ে নিতে হবে। যেকোনো ক্ষতির ট্রিটমেন্ট আছে। যখন যে ওষুধ দরকার, তা প্রয়োগ করতে হবে।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রা-এলেঙ্গা চার লেন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. ইসহাক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিকরুল হাসান, টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম নূর-ই-আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।