বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় | জেলার খবর | ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় প্রায় ৩ লক্ষ শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো হবে
ভোলায় প্রায় ৩ লক্ষ শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো হবে
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি: “ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমান” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এর অয়োজনে বুধবার সকালে ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয় হল রুমে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ডা. রথিন্দ্রনাথ মজুমদার এর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ- পরিচালক মাহামুদুল হক আযাদ, ভোলা প্রেস ক্লাব সভাপতি ও বাংলার কন্ঠ সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান, ইনকিলাব প্রতিনিধি এম এ বারী, ইনডিপেন্ড এর জেলা প্রতিনিধি এড্যাভোকেট কামাল উদ্দিন সুলতান, যুগান্তর প্রতিনিধি অমিতাভ রায় অপু প্রমুখ।
সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. রথিন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, আগামী ৫ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এরমধ্যে ৬ থেকে ১১মাস বয়সি ২৮ হাজার ৫৭০ জন শিশু এবং ১২মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সিদের ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬৫ জন শিশু রয়েছে। ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য ১৭৭২ টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারিত করা হয়েছে। আর এ জন্য ২ হাজার ৮২২ জন টিকাদান কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। কোন রকম গুজব বা অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে শিশুদের টিকাদন কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। আর এ জন্য শিশুদের ভরা পেটে এ প্লাস ক্যাপসুল খায়ানোর পরামর্শ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
উল্লেখ্য, মানব দেহে ভিটামিন এ তৈরি হয়না। এটা বাইরে থেকে গ্রহণ করতে হয়। শিশু জন্মের প্রথম ৬ মাসে মায়ের দুধে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে শিশুর বাড়ন্ত অবস্থায় অধিক ভিটামিন ‘এ’র চাহিদা থাকে। এই ভিটামিনের অভাবে চোখের ক্ষতিকর প্রভাবসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
এছাড়া রক্ত স্বল্পতা, ত্বকের শুস্কতা বৃদ্ধি ও ত্বক মলিন হয়ে যায়। তাই শিশুদের জন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুলের গুরুত্ব অপরিসীম।