বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » বেশির ভাগ দূর্নীতি হয় ভূমি অফিসে”- দুদক চেয়ারম্যান
বেশির ভাগ দূর্নীতি হয় ভূমি অফিসে”- দুদক চেয়ারম্যান
লালমোহন বিডিনিউজ: সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত হয়ে জনগণকে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতা। জনগণেরও দুর্নীতিমুক্ত সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই কাজে ব্যর্থ হলে আপনাকে জেলে যেতে হবে।’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘বেশির ভাগ দুর্নীতি হয় ভূমি অফিসে। আমরা চাই ভূমি অফিসসহ সব অফিস দুর্নীতিমুক্ত হোক। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।’
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা: দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি’ শীর্ষক মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, দুদকের মহাপরিচালক মো. শামসুল আরেফিন, চট্টগ্রামের কাস্টমস কমিশনার এ এফ এম আবদুল্লাহ খান, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
দুদক চেয়ারম্যান সরকারি কর্মকর্তাদের বলেন, ‘আপনি জনসেবা করতে গিয়ে যদি ভুল করেন এবং সে ভুল যদি উদ্দেশ্যমূলক কিংবা ইচ্ছাকৃত না হয়, তাহলে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি আপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে না। আপনারা জনগণকে নিয়ে কাজ করুন। জনগণের বিরুদ্ধে যেন আমরা না দাঁড়াই। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আপনি জিততে পারবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবেন না। তাঁদের সেবা দিন। জনগণের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আমরা যেন কেউই আইনের বাইরে গিয়ে কাজ না করি। আমি সবাইকে বলছি, আইনটা মানেন। যে পদ্ধতি আছে সে পদ্ধতি মানেন, যদি পারেন সেই পদ্ধতির উন্নতি করেন।’
কাস্টমস কার্যালয়ের নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব অভিযোগ আমরা সত্য বলব না। তবে কিছু যদি সত্য না থাকে তাহলে এতগুলো কনটেইনার স্ক্যানিং ছাড়া কীভাবে চলে যায়?’
সভায় দুদকের মহাপরিচালক মো. শামসুল আরেফিন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়া জনগণ কী কী অভিযোগ দিচ্ছেন তার কিছু চিত্র তুলে ধরেন। জনগণকে আইনের কাঠামোর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন।