মঙ্গলবার, ১ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় জ্বিনের বাদশা! প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ টাকা
ভোলায় জ্বিনের বাদশা! প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ টাকা
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় জ্বিনের বাদশা পরিচয়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলার উ: দিঘলদী ৪নং ওয়ার্ড রাঢীর হাট সংলগ্ন চাঁন কাজী শিকদার বাড়ীর মফজিল শিকদারের ছোট ছেলে হারুন । সে দীর্ঘদিন যাবৎ জ্বিনের বাদশা পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও প্রতারণায় বেশ পাঁকা। প্রতিনিয়ত প্রতারণা করার জন্য রয়েছে তার বাড়ির সামনে হুজুরি খানা। এই হুজুরি খানায় বসে সাধারণ ও অসহায় মানুষের কাছ থেকে সু-কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।
কথীত জ্বিন হারুনের প্রতারণার শিকার কহিনুর, রাশেদা ও গোলেনুর অভিযোগ করেন, আমাদের সকল রোগ মুক্ত, স্বামীর সংসারে সুখ-শান্তি, ভাগ্য পরিবর্তনের কথা বলে লোভ দেখিয়ে এবং জ্বিনের ভয় দেখিয়ে হারুন খন্কার ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে নিয়েছে । এভাবে মিথ্যা আশা দিয়ে দিয়ে কয়েকবার টাকা হাতিয়ে নেয় ।
কোন প্রতিকার না পেয়ে দীর্ঘদিন পর তার কাছে জানতে গেলে তিনি আমাদেরকে উল্টো শাসিয়ে বলেন, আমি তোমাদেরকে চিনিনা! আর আমার সামনে এক মুহুর্ত থাকলে তোদের অনেক খারাপ হবে। আমি খুব খারাপ মানুষ। তোরা আমাকে চিনিসনা। এভাবে জ্বিনের বাদশা হারুন, এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন। অপরদিকে ২০১৩ সালে জ্বিনের বাদশা হারুনের অপকর্মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদের সত্যতা প্রমাণ করতে তককালিন ভোলা ডিবি অফিসার হাবিব ঘটনাস্থলে যান। জ্বিনের বাদশা হারুনের অবস্থান দেখে সংবাদের সত্যতা প্রমানিত হওয়ার পর ডিবি অফিসার হাবিবের কাছে প্রতারণা না করার অঙ্গীকার করেন।
বেশ কয়েকদিন পর জ্বিনের বাদশা হারুনের স্ত্রী ক্ষমতাশীন দলের বেশ কয়েকজন নেতার সাথে সখ্যতা তৈরি করে আবারও তার প্রতারণা নামক অপকর্ম প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে। জ্বিন ও এলাকার প্রভাবশালীদের ভয়ে কেহ মুখ খুলতে পারছে না বলে জানান এলাকাবাসী।
এব্যাপারে জ্বিনের বাদশা হারুনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন মুর্খ মানুষ কাজ-কর্ম করতে পারিনা। আমার সাথে জ্বিন রয়েছে। জ্বিনের মাধ্যমে মানুষের সকল প্রকার রোগ ও যাদুটনা,বানটনা থকে মুক্ত করে থাকি। বিনিময়ে কিছু পারিশ্রমিক গ্রহণ করি।
এদিকে জ্বিনের বাদশা হারুনের রয়েছে একটি বিশাল বাহিনী। এই বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে সু- কৌশলে সাধারণ মানুষকে এনে প্রতারণা করে থাকে। কেউ তার প্রতিবাদ করলে তার বাহিনীর হাতে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়।
এব্যাপারে ভোলা ডিবি (ওসি) ফারুক আহমদে বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতারক, ঠকবাজ, জ্বিনের বাদশা হারুনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।