বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরায় মিয়া জমিরশাহ বাঁধে ধস;৩ ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা
মনপুরায় মিয়া জমিরশাহ বাঁধে ধস;৩ ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা
লালমোহন বিডিনিউজ, সীমান্ত হেলাল মনপুরা :ভোলার মনপুরায় মিয়া জমিরশাহ বাঁধ ও সরকারী ডাকবাংলো রোডটির পাশের মাটি ধসে পড়ে গাইড ওয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। এই রোডটি ৩ টি ইউনিয়নে যাতায়াতের সংযোগ সড়ক হওয়ায় যাত্রীরা আতঙ্কে যাতায়াত করছেন। যে কোন মুহুর্তে রাস্তাটি পুরোপুরি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে হাজীর হাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিন সাকুচিয়াসহ ৩ ইউনিয়নের মানুষ। তাই অতি দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, উপজেলা সদর হাজীর হাট ইউনিয়নের মিয়া জমিরশাহ বাঁধ ও ডাকবাংলো রোডটি মাটি ধসে ভেঙ্গে পড়েছে। লাগাতার বৃষ্টি, বড় দুটি দিঘিতে সেচ দেয়ার কারনে পানি না থাকা, ও প্যালাসাইডিংয়ের স্লাপগুলো ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়াই এই মাটি ধসের কারন। যার ফলে রাস্তার দু পাশের মাটি ভেঙ্গে পড়েছে দুটি দিঘির মধ্যে। সেই সাথে জমিরশাহ বাঁধ জমিরশাহ বাঁধ জমিরশাহ বাঁধ রাস্তার তলার মাটি সরে গিয়ে গাইড ওয়াল ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মুল রাস্তা।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৯/১০ অর্থ বছরে রাস্তাটির ধস ঠেকানোর লক্ষে এলজিইডি কর্তৃক প্যালাসাইডিংয়ের কাজ করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্থানীয় কিছু অসৎ লোক উক্ত প্যালাসাইডিংয়ের স্লাপগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। যার ফলে রাস্তার দুই পাশে দুটি বড় বড় দিঘি থাকায় পানির ঢেউয়ে রাস্তায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।
উক্ত রাস্তার মাটি ধসে পড়ে ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহনের চালকসহ সাধারন মানুষ। তিনটি ইউনিয়নের সাথে দাসের হাট সংযোগ সড়ক মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর থেকে এই রাস্তা ৩ ইউনিয়নের সেতু বন্ধন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোন সময় রাস্তাটি পুরোপুরি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে হাজীর হাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিন সাকুচিয়াসহ ৩ টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
এব্যাপারে উপজেলা এলজিইডির অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি ধসের ব্যাপারে শুনেছি। কিন্তু এই রাস্তাটি মেরামতের ব্যাপারে আমাদের হাতে তেমন কোন বরাদ্ধ নেই। তবে মন্ত্রী মহোদ্বয় (ভোলা-৪) এব্যাপারে নজর দিলে অতি দ্রুত কাজটি হবে। এবং বরাদ্ধ দেয়াার সাথে সাথে আমরা কাজ শুরু করবো।