রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ব দিশেহারা উপজেলাবাসী
লালমোহনে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ব দিশেহারা উপজেলাবাসী
লালমোহনবিডিনিউজ: লালমোহন করিমুন্নেছা-হাফিজ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়ার বাসায় খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে ৪ জনকে অচেতন করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাতে লালমোহন পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। চেতনানাশক খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে পরেন, গোলাম কিবরিয়া (৪৬), স্ত্রী ফরহা দিবা লিচু (৪০), জমজ দুই মেয়ে রাবিব (১৩) ও রানিফা (১৩)। স্থানীয়রা অচেতনদের কে তাদের নিজ বাসায় চিকিৎসা দিয়েছেন এবং গুরুত্বর অসুস্থ রানিফাকে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গোলাম কিবরিয়ার বাসায় রাতের খাবারের সাথে চেতনাশক মিশিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই খাবার খেয়ে বাসার সবাই ঘুমিয়ে পরে। রাতের যে কোন সময় দুর্বৃত্তরা ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার, টাকা, মোবাইল ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, গত ৭ জানুয়ারী ২০১৬ লালমোহন পৌর লাঙ্গলখালী এলাকার নসু পাটওয়ারী, তাঁর স্ত্রী মাফিয়া বেগম, ছেলে আশিকসহ চারজনকে অচেতন করে মুঠোফোন ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় দূবৃত্তরা।
১৮ মার্চ ২০১৫ স্টেডিয়াম সংলগ্ন ফজলুল হকের বাসায় ফজলুল হক, তার ছেলে গজারিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী মাহফুজা কে অজ্ঞান করে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করে দুর্বত্তরা ।
২২ মে ২০১৪ উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম, তার স্ত্রী ফাতেমা, ছেলে মাকসুদ, ছেলের বউ হাফসা ও নাতি নাহিম কে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নেয় দূবৃত্তরা ।
এর সপ্তাহখানেক আগে উপজেলার সিকদার হাট এলাকায় অপর একটি ঘরে প্রবেশ করে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা মা ও মেয়ের কাছে থাকা প্রয়োজনীয় সব কিছু লুটে নেয়।
উপজেলাবাসী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে সর্বস্ব হারালে ও এখন পর্যন্ত এদের কোন সদস্য গ্রেফতার না হওয়ায় দিনদিন যেমন এদের দৌরাত্ব বাড়ছে তেমন আতংকে দিন গুনছে এলাকাবাসী ।