মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলাকে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহন– ভোলায় পানি সম্পদমন্ত্রী
ভোলাকে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহন– ভোলায় পানি সম্পদমন্ত্রী
লালমোহন বিডিনিউজ, জুয়েল সাহা ভোলা : ভোলা সদরের ইলিশা-রাজাপুর রক্ষা প্রকল্পের কাজের পরিদর্শনকালে বুধবার দুপুরে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে পনি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা ব্রিজ, মেট্টোরেল, চারলেন সড়ক এগুলো প্রধানমন্ত্রীর সফলতা না। তার সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে মানুষের মধ্যে এ বিশ্বাস এনে দিয়েছেন যে, আমরা পরিবর্তন করতে পারি, দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারি।
পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম বলেছে, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে স্থায়ী ঠিকানা দেয়া হবে। এখন আর কোন মানুষকে গৃহহারা হতে হবে না। ভোলাকে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে ২ হাজার ২৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মূল বাজেটের ৬০ভাগ। যা ধাপে ধাপে দেয়া হবে। এছাড়াও ভোলার নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে যত টাকা খরচ হবে তা আমরা দেব।
পানি সম্পদ মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম নদী মেঘনা, এ নদীর ভাঙ্গন প্রবনতা বেশী। আমরা এ নদী শাসনের লক্ষে কাজ করছি। কারন বর্তমান সরকারের সামর্থ রয়েছে। এদেশ এখন আর গরীব দেশ হিসাবে পরিচিত নয়। আমরা চার লক্ষ কোটি টাকার উপরে বাজেট করতে পেরেছি। আর বিশ্বের মানুষ বিশ্বাস করতে শুরুর করেছে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে পড়া দেশ না।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে ব্রাজিলের আমাজান নদীর পরে এই মেঘনা হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। এই নদী দিয়ে সবচেয়ে বেশী পানি নিষ্কাশন হওয়ায় এ জায়গাগুলোর ভাঙ্গন প্রবনতা বেশী। পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও এ নদী ভাঙ্গনের সাথে যুদ্ধ করে কাজ করতে হয়, যা অন্য কোনো সেক্টরকে করতে হয় না। ভোলা ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার মাস্টারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো: নজরুল ইসলাম বীরবিক্রম। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালক মাহফুজুররহমন,ভোলা জেলা প্রশাসক মো: সেলিম উদ্দিন,ভোলা সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউনুস,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব,এনামুল হক আরজুসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মন্ত্রী নৌযান যোগে ইলিশা হয়ে রাজাপুর পর্যন্ত ভাঙ্গন রোধের কাজের পরিদর্শন করেন।
পরে মন্ত্রী ভোলার দৌলতখান উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় যোগদেন।