শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রী ধর্ষন
লালমোহনে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রী ধর্ষন
লালমোহন বিডিনিউজ: লালমোহন উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মাদ্রসাবাজার এলাকার মোস্তাফার ছেলে মামুন (২৪) নামের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র লালমোহন করিমুন্নেছা-হাফিজ মহিলা কলেজের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
জানা যায়,মামুন একই ইউনিয়নের তালপাতার হাট এলাকার প্রবাসী মো: মোজাফ্ফর এর কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
১১জুলাই মঙ্গলবার রাতে দিকে মামুন প্রবাসী মোজাফ্ফর এর মেয়ের সাথে গোপন অভিসার করতে যায়।
এলাকার বেরশিক জনতা বিষয়টি টের পেয়ে মামুনকে আটক করে । খবর পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ ভোর রাতে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বুধবার দুপুরে থানা পুলিশ মামুন ও মোজাফ্ফরের মেয়ে কে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) শামছুল আরিফের কাছে নেয়। তিনি উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে অভিযুক্ত মামুনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় ।
অভিযোগকারী ছাত্রীর মা জানান, আমার মেয়ে কে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে ছিলাম । অথচ মামুন আমার মেয়ে কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঐ বিয়েটি ভেঙ্গে দিয়েছে । ঘটনার দিন আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে মামুন আমার বাড়িতে যায় । আমার মেয়ে তাকে চলে যেতে বললে ও সে জোর করে ঘরের ভিতরে যায় । পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে আমাদের ঘরে জড়ো হয়ে মামুন কে আটক করে থানায় দেয়। আমি প্রতারক মামুনের কঠিন বিচার ও শাস্তি দাবী করছি ।
অপরদিকে কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করেন, স্থানীয়রা মামুন কে আটক করে থানায় দেয়ার পর আমাদের দুজনের বিয়ে পরিয়ে দেবেন বলে আমার কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা দাবী করে লালমোহন থানা পুলিশ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামুনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ধর্ষন ঘটনা চাপা দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে নিয়ে যায় । আমার জবানবন্দি না নিয়েই বিষয়টিকে ইভটিজিং দেখিয়ে মামুনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মামুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি ।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর বলেন, থানায় ভিক্টিম আসেনি। কোন অভিযোগ করেনি। নির্বাহী অফিসার মোবাইল কোর্ট করেছেন। আমরা শুধু নির্বাহী অফিসারকে সহযোগীতা করেছি ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামছুল আরিফ বলেন, পুলিশ ছেলে মেয়েকে এনে আমার কাছে হাজির করেন। প্রথমে ইভটিজিং বলায় ছেলের কাছ থেকে মুচলেকা রাখা হয়েছে। পরে ভিক্টিম ধর্ষণের অভিযোগ করলে এটা মোবাইল কোটের আওতায় নেই বলে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।