সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মেঘনার ভয়াল গ্রাসে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে মনপুরার মানচিত্র
মেঘনার ভয়াল গ্রাসে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে মনপুরার মানচিত্র
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা সংবাদদাতা : মেঘনার অব্যাহত ভাঙনের ফলে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্যের দ্বীপ মনপুরা।
মেঘনার তীব্র স্রোতে চতূর্দিক থেকে ভেঙে কেবলই ছোট হয়ে আসছে।
বিগত ৫ বছরে মেঘনার ভাঙনে সহস্রাধীক একর ফসলী জমি, ঘর বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
সহায় সম্বল ভিটে মাটিহীন অসহায়স মানুষ বেড়ীর ঢালে কিংবা নব্য চরে মাথা গোঁজার ঠাই করে নিয়েছে।
মেঘনার ভাঙনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পর্যটকদের দর্শনীয় স্থান, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ইউপি ভবন, মসজিদ, মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের উত্তর মাথা দিয়ে তীব্র স্রোতে মূল ভুখন্ড ভেঙ্গে কেবলই ভিতরে ঢুকছে।
মনপুরার সবচেয়ে রামনেওয়াজ বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সম্পূর্ণ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিটে মাটি হারিয়ে পথে বসতে শুরু করেছে।
মনপুরা ইউনিয়নের আন্দিড়পাড়, মাছুয়াখালি, কুলাগাজী তালুক, কাচারির ডগিসহ ৫টি ওয়ার্ড সম্পূর্ণ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং কাউয়ারটেক, সীতাকুন্ড, ঈশ্বরগঞ্জ মৌজার অধিকাংশ গ্রাম নদীর গর্ভে চলে গেছে। মনপুরা ইউনিয়নের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙ্গনকবলীত কিছু প্রতিষ্ঠান অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।
উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়ন ও ভাঙ্গনের কবলে। হাজির হাট ইউনিয়নের নাইবের হাট বাজার সম্পূর্ন নদীর গর্ভে চলে গেছে।
এছাড়া পূর্ব সোনারচর ভেঙে কেবলই ভিতরে ঢুকছে। চরজ্ঞান, দাসের হাট প্রায় সম্পূর্ণ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একইভাবে উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া মেঘনার ভাঙনে কেবলই ছোট হয়ে যাচ্ছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে মনপুরা উপজেলাটি হয়তো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে ।
দ্রুত নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য দাবী জানাচ্ছেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ।
রামনেওয়াজ বাজার ব্যবসায়ী কিংকর চন্দ্র দাস, অরুণ, অহিদ ডাক্তার বলেন, ইতি পূর্বে বাজারটি কয়েকবার স্থানান্তর করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি ও দেনা মাথায় নিয়ে পথে বসেছেন।
তাই দ্রুত মেঘনার ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষার দাবী জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিসেস শেলিনা আক্তার চৌধুরী বলেন, মনপুরা পর্যটনের অপার সম্ভবনায় স্থান। প্রতিদিন মেঘনার ভাঙনে মানুষ সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে শুরু করেছে। মেঘনার ভাঙন রোধে পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মনপুরার রামনেওয়াজ লঞ্চঘাট এলাকা ১৯২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাশ করিয়েছেন। বর্ষার শেষে ব্লকের কাজ শুরু হবে। ভাঙন রোধে উপমন্ত্রী প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
vs/ss