ভোলায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার
লালমোহন বিডিনিউজ, জুয়েল সাহা, ভোলা : আর মাত্র কয়েকদিন বাকি ঈদ-উল-ফিতরের। এরইমধ্যে জমে উঠেছে ভোলার ঈদ বাজার। সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত শহরের সকল মার্কেট ও ফুটপাতের সবগুলো দোকানই ক্রেতায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কারোরিই যেনো দম ফেলানোর সময় নেই।
এবার আবহাওয়া কিছুটা খারাপ থাকলেও ব্যবসা ভালোই হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটে আসা ক্রেতাদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক রয়েছে তিনস্তরের নিরাপত্বা।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুড়ে দেখা যায়, এবারের ঈদ বাজার ইতোমধ্যে পুরোপুরি জমে উঠেছে। চলতি মাসের দ্বিতিয় সপ্তাহ থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে। এর আগে অতিবৃষ্টিতে বিক্রি কিছুটা ভাটা পড়েছিলো। এখন সকাল ১০টা থেকেই বিক্রিতে ধুম লেগে যায় মার্কেটের ছোট বড় সকল দোকানে।
প্রতিটি মার্কেটে দু’ধাপে বিক্রি হচ্ছে। দিনের প্রায় পুরো সময়টা গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা মার্কেট দখল করে রাখে। যারা শহরে কিংবা শহরের আশপাশে থাকেন তারা মার্কেটে আসেন সন্ধ্যার পর। যার কারণে ভোলায় ঈদ বাজারে দিনে ও রাতে সমানতালে বিক্রি চলছে। এ ভিড় সাধারণত কাপড় ও গার্মেন্ট দোকানগুলোতে বেশি হচ্ছে।
প্রসাধনী, গার্মেন্টস্ আইটেম, কাটা কাপড়ের দোকান আর কাপড়ের দোকানগুলোতে পুরোপুরি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার জুতোর দোকানগুলোতে ঈদের ক্রেতায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকছে।
ক্রেতারা বলেন, গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশী হলেও পছন্দের জিনিসটি এবার পাওয়া যাচ্ছে। নিজের পছন্দের পোশাক কিনতে পেরে সন্তুষ্ট হওয়ার কথাও জানান। পোশাকের পাশাপাশি জুতা, মেহেদি, চুড়িসহ প্রসাধনী ও কিনছেন তারা সমান তালে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান সময়টাতে চাকুরিজীবিরা এখন ঈদ মার্কেটে ভিড় করছে বেশি। তবে এবার রয়েছে নতুন নতুন অনেক ডিজানের পোশাক। এবার ছেলেদের জন্য রয়েছে থাই প্যান্ট, এন্টারিস্ট জিন্স, টায়না গেবাডিং, ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবী, পাকিস্তানি পাঞ্জাবীনহ আরও অন্যান্য পোশাক। মেয়েদের জন্য রয়েছে গ্রাউন, ফ্রোক, থ্রীপিস, ইন্ডিয়ান শারিসহ ইন্ডিয়ান সব পোশাক গুলো। পুরুষের তুলয়ান নারী ও শিশুদের আইটেম গুলোই চলে বেশী বলেও ব্যবসায়ীরা জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত এক বছরের মধ্যে ভোলার বাজারে নতুন করে বেশ ক’টি মার্কেট চালু হয়েছে। এ সকল মার্কেটের অধিকাংশ দোকান গার্মেন্টস্ আইটেম সম্বলিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ভোলায় এখন রয়েছে নবারুন সেন্টার, কে জাহান শপিং সেন্টার, তালুকদার ভবন, জাহাঙ্গীর প্লাজা, রানী প্লাজা, চৌধুরী প্লাজা, জিয়া সুপার মার্কেট, চক বজারসহ অসংখ্য মার্কেট।
ভোলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন জানান, ঈদে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদে কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া থানা পুলিশের সিভিল টিম, নারী পুলিশ টিম ও ইউনিফর্ম টিম টহল দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত ।