
শনিবার, ১৭ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে প্রায় ৫০ শতাংশ রাস্তার অবস্থা নাজুক ॥ জনসাধারনের দূর্ভোগ
লালমোহনে প্রায় ৫০ শতাংশ রাস্তার অবস্থা নাজুক ॥ জনসাধারনের দূর্ভোগ
লালমোহন বিডিনিউজ, এম,আর,পারভেজ : সংস্কারের অভাবে ভোলার লালমোহন উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের প্রায় ৮০ কি.মি. সড়কের বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে , এই যেন মানব জাতির এক মরন ফাঁদ ! রাস্তায় বড় বড় গর্ত আর ইট বালি উঠে গিয়ে যান চলাচলে সম্পূর্ন অযোগ্য হয়ে পড়েছে । দিন দিন ওই সব রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও পথচারিদের দূর্ভোগ বেড়েই চলছে । প্রতিদিনেই ঘটছে দূর্ঘটনা । প্রতি বছর এসব সড়ক মেরামতের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কিছ অসাধু ঠিকাদাররা নিম্ম মানের ইট, সুরকি ব্যবহার করায় তা স্থায়ী হচ্ছে না । উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়,লালমোহন উপজেলায় পকা রাস্তার পরিমান ১৫৪ কি.মি, তার মধ্যে উপজেলা সড়ক ৩৩ কি.মি, ইউনিয়ন সড়ক ৬৯ কি.মি, গ্রামিন সড়ক এ ৩৭.৫ কি.মি, গ্রামিন সড়ক বি ১৫কিলোমিটার । দীর্ঘদিন মেরামত না করায় প্রায় ৫০ শতাংশ রাস্তার অবস্থা নাজুক । এর মধ্যে হরিগঞ্জ বাজার থেকে রায়চাঁদ বাজার সড়ক , ডাঃ আজাহার উদ্দিন রোড থেকে চতলা বাজার ব্রীজ , আজাহার রোড থেকে পূর্বে কুমার খালী একতা বাজার পর্যান্ত, হাফিজ উদ্দিন বাজার (কবিরের দোকান) থেকে পশ্চিম দিকে পূর্বচরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা পর্যান্ত, রায়চাঁদ বাজার থেকে দক্ষিনে তেগাছিয়া ব্রীজ , রায়চাঁদ থেকে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে উত্তর দিকে নতুন বাজার ও পাটাওয়ারীর হাট যাতায়াত সড়ক, নতুন মুগুরিয়া বাজার থেকে চরভূতা বাংলাবাজার পর্যান্ত, পূর্ব চতলা বাজার থেকে জনতা বাজার যাতায়াত সড়ক, চরভ’তা আলমগীর চেয়ারম্যান দরজা থেকে পশ্চিম দিকে কর্তার কাচারি পর্যন্ত এ জনবহুল যাতায়াত সড়কগুলো এখন মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিনেই এ আঞ্চলিক সড়কে ঘটছে ছোট খাটো দূর্ঘটনা । বর্ষা মৌসুমের প্রায় সময়েই যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে, এ সকল সড়কে, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, কোন সুস্থ স্ববল মানুষ এ সকল সড়কে রিক্্রা, গাড়ি দিয়ে যাতায়াত করলে অসুস্থ হয়ে ঢাকা-বরিশালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। ভাড়ায় চালিত হুন্ডা চালক, মোঃ মিজান, মফিজ, নিরব উদ্দিন, সিরাজ, অটো রিক্্রা চালক মোঃ ইউসুফ, জামাল, শাহে আলম (রুটি), নেজামল হক (রুটি) সহ হজারো জনসাধারন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লালমোহন উপজেলার সড়ক গুলো বেহাল দশার কারনে আমাদের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। সচেতন মহলের দাবী এ সকল অবহেলিত সড়ক গুলোর তালিকা করে কর্তৃপক্ষ যেন আশু মেরামতের ব্যাবস্থা করেন। চতলা মোহাম্মদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাই বলেন আমার বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-ছাত্রী আজহার উদ্দিন রোড সহ অন্নান্য এলাকা থেকে আসেন কিন্তু যাতায়াত সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারনে অনেকেই বিদ্যালয়ে আসতে সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছেন। রমাগঞ্জ ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরনবী মিয়া বলেন এ সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার, আমাদের এম, পি মহোদয় এক জন উন্নয়নের রুপকার তিনি আমাদের লালমোহন তজুমদ্দিন কে উন্নয়নের রোড মডেল হিসাবে পরিনত করেছেন আমি এম, পি মহোদয়কে আজহার রোড থেকে চতলা বাজার পর্যান্ত সড়ক সহ রমাগঞ্জের সকল সড়কের মেড়ামতের জন্য অবগত করব, আশাকরি আমাদের এম, পি মহোদয় দ্বারা উন্নয়ন সম্বভ। । এ ব্যাপারে রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা মিয়া বলেন, উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের সড়ক গুলোর অবস্থা খুবই করুন। এল,জি,ইডি অফিসের ইঞ্জিনিয়ার এসে আমার ইউনিয়নের এ সকল সড়ক গুলো মেপে নিয়েছে কয়েক মাস আগে কিন্তু কেন কাজ শুরু হয়না এম, পি, মহোদয়কে এ ব্যপারে জানাবো, উপজেলা এল,জি,ইডির প্রকৌশলী রেজাউল করিমের কাছে এ সড়কগুলোর মেরামতের ব্যপারে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা রাস্তার নামগুলো লিখে নিয়ে আসেন তারপর দেখে বলবো ।