রবিবার, ১১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » কালিপদের সূদের টাকায় চাঁপা পরে নিরবে কাঁদছে দ্বিপ্তির অধিকার
কালিপদের সূদের টাকায় চাঁপা পরে নিরবে কাঁদছে দ্বিপ্তির অধিকার
লালমোহন বিডিনিউজ : পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনে দোলা ও তিথির করুন মৃত্যূ । শুধু লালমোহন আর ভোলা নয় সারাদেশের মানুষ হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় । দোলা, তিথির কথা লালমোহনবাসী ভূলতে না ভূলতেই এক প্রতারিত নারী লালমোহনে এসে অনশন করছে । সূদুর ঢাকার গাজীপুরের মেয়ে দ্বিপ্তি রানী দাস । ঘটনার পরিক্রমায় যার নামটি এখন অতি পরিচিত হয়ে ওঠেছে ভোলাবাসীর কাছে ।
দিপ্তি ও তার অনাগত সন্তানের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ঘটনা ও বর্তমানে সকলের মূখে মূখে । যে কোন লড়াইয়ের একটি শেষ পরিনতি থাকে । দ্বিপ্তির ঘটনার ও তো একটি পরিনতি প্রয়োজন । কি হবে সেটা ? জয় নাকি নির্মম পরাজয় ? দ্বিপ্তি কি ফিরে পাবে তার অধিকার ? নাকি দাম্ভিক কালিপদের সূদের টাকার চাপায় পদদলীত হতে থাকবে দ্বিপ্তির বিচার ? এমন অসংখ্য প্রশ্ন এখন জনমনে । এ প্রশ্নের উত্তর দেবে কে ? স্থানীয় প্রশাসন? কালিপদ বা উজ্জল ? নাকি মানবতার কাছে দায়বদ্ধ থাকা সূশিল সমাজ ?
সূদুর ঢাকার গাজিপুর মনিপুর এলাকার পিতা মাতা হারা দ্বিপ্তি লালমোহনের ছেলে উজ্জলের প্রতারনার ফাঁদে পরে দীর্ঘ ২২ দিন স্বামীর অধিকারের আশা নিয়ে শশুর কালিপদের ঘরের দুয়ারে ঘুরে বেড়ালে ও অধিকারের বদলে ধিক্কার পেতে হয়েছে তাকে ।
দ্বিপ্তি বলেন, যতক্ষন পর্যন্ত আমার অধিকার ফিরে না পাবো আমি আমার স্বামীর ঘরের দুয়ার থেকে যাবনা । আতংক আর নিরাপত্তাহীনতা জেনে ও স্বামীকে পাবার আশায় শশুর কালিপদের বাসার সামনে অনশনে বসে দ্বিপ্তি । সংবাদকর্মীদের কানে পৌছে দ্বিপ্তির আর্তনাদ । একাধিক টিভি চ্যানেলসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা, অনলাইন মিডিয়া, ইউটিউব, ফেজবুকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় দ্বিপ্তির আর্তনাদের চিত্র । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুশিল সমাজ ও আমজনতার ক্ষোভে ভরা কমেন্টস । অবশেষে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের । নিরাপত্তার দায়বদ্ধতায় বাঁধা পরে অনশনরত দ্বিপ্তিকে রাখা হলো ৬ নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর রঞ্জয় দাসের বাসায় । সেই থেকে দীর্ঘ ৯ দিন কাউন্সিলরের বাসায় দ্বিপ্তির ঠাঁই মিললে ও কোন ফলাফল ভাগ্যে মিলছে না তার ।
দ্বিপ্তি বলেন, দীর্ঘদিনে ও আমার অধিকারের বিষয়ে কোন সুরাহা হলোনা । মনে হচ্ছে উজ্জলের পরিবারের ইচ্ছেমতেই চলছে সবকিছু । আগামীদিনের মধ্যে কোন সুরাহা না মিললে আমি এমপি মহোদয়ের সরনাপন্ন হবো ।
অসহায় দ্বিপ্তির অনবরত চোখের জল চিৎকার করছে ন্যায়ের আশায় । আর আমজনতা হাজারো প্রশ্ন নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে । প্রতারনার শিকার দ্বিপ্তি কি তার অধিকার ফিরে পাবে ? পেলে কবে পাবে ? নাকি পাষন্ড কালিপদের সূদের টাকার নিচে পদদলীত হয়ে চাপা পড়ে যাবে অসহায় দ্বিপ্তি ও তার অনাগত সন্তানের অধিকার ?