রবিবার, ১১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরায় অস্বাভাবিক জোয়ারে ৭ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষ
মনপুরায় অস্বাভাবিক জোয়ারে ৭ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষ
লালমোহন বিডিনউজ ,সীমান্ত হেলাল, মনপুরা: ভোলার মনপুরায় অমাবশ্যা ও নিম্মচাপের প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে ৭ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে রমযানে দুর্ভোগ পড়েছে উপজেলার দুই ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের কুলাগাজীর তালুক, ঈশ্বরগঞ্জ, কাউয়ারটেক, আন্দিরপাড় গ্রাম ও হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, সোনারচর, চরযতিন গ্রামে জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৩ শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। পানিবন্দি বেশিরভাগ মানুষের রান্না ঘরের চুলায় হাড়ি না উঠায় না খেয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মেঘনার পানি বিপদসীমার ২০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র অবজারভার মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, জেলায় ১৬.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও নি¤œচাপের কারনে ৩ নম্বর সর্তকতা সংকেত জারী করা হয়েছে।
পানিবন্দি ছলেমান, গফুর, ছালেকা, মরিয়ম, আব্বাস যুগান্তরকে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতির কারনে আমরা রমযান মাসে জোয়ারে ডুবছি। গত তিন বছর ধরে পাউবো ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ মেরামত না করায় বছরের ৬ মাস সকাল-রাতে পানিবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। জোয়ারের পানি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করায় খাটের উপর পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতে হচ্ছে। গত দুইদিন ধরে না খেয়ে রোযা রাখতে হচ্ছে। একই কথা বলেন পানিবন্দি অসংখ্য মানুষ।
হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান দিপক চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর উপসহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, বর্ষায় ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত কাজ করার জন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ হাওলাদার জানান, জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ও পাউবোকে অবহিত করা হয়েছে।