বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলা জেলায় পল্লি বিদ্যুতের চরম বিপর্যয়
ভোলা জেলায় পল্লি বিদ্যুতের চরম বিপর্যয়
ভোলা সংবাদদাতা : ভোলায় পল্লি বিদ্যুতের চরম বিপর্যয় চলছে। দিনে ও রাতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছেনা গ্রহকরা। গড়ে ২৪ ঘন্টায় ৫ ঘন্টাও বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এতে একদিকে যেমন প্রচন্ড গরমে দুর্ভোগে পড়ছেন মানুষ অন্যদিকে জনজীবনে নাকাল হয়ে পড়ছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, জেলা সদরের বাইরের মফস্বল উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বিদ্যুতের অভাবে পৌর এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ থাকছে বেশীরভাগ সময়।
এদিকে, বিদ্যুৎ সংকটের কারনে ছোট-বড় বড় কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, বন্ধের পথে বরফকলগুলো। এতে ইলিশ সংরক্ষন করতে না পেরে ক্ষতির আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে ঘটছে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের।
দৌলতখান ও লালমোহন উপজেলার গ্রাহকরা জানালেন, দিনের বেলায় সামান্য বিদ্যুৎ সরবরাহ হলেও রাতের বেলায় চরম লোডশেডিং। সন্ধ্যার পর থেকে টানা রাত ১টা পর্যান্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। কিছুক্ষনের জন্য বিদ্যুৎ এলেও সারারাত জুড়ে চলে বিদ্যুতের আশা-যাওয়া।
গৃহস্থালী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লো ভোল্টেজের কারনে বৈদেতিক পাখা, ফ্রিজসহ বিভিন্ন বৈদেতিক সরঞ্জাম ও কারখানা ঠিকমত চলছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়রা।
বিদ্যুৎ সম্পর্কে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে গ্রাহক আসলাম উদ্দিন বলেন, দ্বীপজেলায় পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ রয়েছে, গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই, যা সরবরাহ হচ্ছে তার পরিমান দিনে মাত্র ২/৩ঘন্টা। বিদ্যুতের লোডশেডিং-এভাবে আর কত দিন।
পল্লি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় আড়াই হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইনের আওতায় ৮২ হাজার গ্রাহ রয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ওই সব এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২২ মেগাওয়ার্ট। সে তুলানায় পাওয়ার প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ১৫/১৭ মেগাওয়াট। লাইনগুলো দুর্বল থাকার কারনে অতিরিক্ত লোড নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে ভোলা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মো: কেফায়েত উল্ল্যাহ বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পায় কিছুটা লোডশেড করতে হচ্ছে, তবে এর পরিমান বেশীয় নয়। আগামী এক মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, গ্যাস ভিত্তিক সাড়ে ৩৪ মেগাওয়ার্ট ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্লান্ট মেশিন থেকে সমগ্র জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে আসছে। জেলায় আরো ২২৫ ক্ষমতা সম্পন্ন অপর একটি বিদ্যুৎ প্লান্ট চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।