শনিবার, ৩ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » বোরহানউদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » বোরহানউদ্দিনে পল্লী বিদ্যুৎতের ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং ॥ অতিষ্ট গ্রাহকরা
বোরহানউদ্দিনে পল্লী বিদ্যুৎতের ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং ॥ অতিষ্ট গ্রাহকরা
লালমোহন বিডিনিউজ, বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি : মাহে রমজানে ইফতারি, তারাবি নামাজ ও সেহরি’র সময় ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পল্লী বিদ্যুত থাকছে না বলে অভিযোগ করছেন পল্লী গ্রাহকরা। এছাড়া বেশির ভাগ সময় কারনে অকারনে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ লোডশেডিং চলছে। এতে অতিষ্ট হয়ে উঠছে পল্লী গ্রাহকরা।
সূত্রমতে জানা গেছে, এ উপজেলার প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে ২২৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি ভোলা সদরে আরোও ৩৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ওই উৎপাদিত বিদ্যুৎ বরিশাল অঞ্চল সহ কয়েকটি জেলায় সুফল পেলেও সুফল পাচ্ছে না এ জেলার লাখ লাখ মানুষ। এ উপজেলায় বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলেও পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জন জীবন বিপযস্ত হয়ে পড়ছে।
উপজেলায় গত দু’ই মাস ধরে পল্লী বিদ্যুতের চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। দিন-রাতে বিদ্যুৎ যাওয়া আসার খেলা চলছে অসংখ্যবার। দিনে গড়ে ৪-৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও সন্ধ্যার পর অন্ধকারে থাকে পুরো উপজেলা। প্রায়ই রাতে ৯টার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে বিদ্যুৎ আসে পর দিন সকালে। আকাশে মেঘ দেখলেই বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বৈদ্যুতিক সেবা দিতে ব্যর্থ হলেও থেমে নেই নতুন সংযোগ দেয়ার কার্যক্রম।
এব্যাপারে উদয়পুর রাস্তার মাথার পল্লী গ্রাহক সফিউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার ২২৫ ও ৩৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। অথচ আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে থাকতে হয়। মাহে রমজান পাশাপাশি প্রচন্ড গরম আমরা অতিষ্ট কিন্তু আমরা দিন রাতে ২-৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল সঠিক সময় দিতে ভুল করে না তারা।
এব্যাপারে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ জিএম কেফাতউল্লাহ ভোরের কাগজ কে বলেন, ভোলা পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ৩৩ মেঘাওয়াট। ২২৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নিচ্ছি ২৫ মেঘাওয়াট। আর বাকী ৮ মেঘাওয়াট নেয়া হয় ভোলা ৩৪ মেঘাওয়াট থেকে। কিন্তু ওই ৩৪ মেঘাওয়াট যান্ত্রিক ক্রুটির কারনে অখান থেকে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ সাময়িক সমস্যা। এছাড়া অজোপাডিকার সাথে তাদের একটা সমঝোতা চলছে বলে তিনি জানান। এতে করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে লোডশেডিংয়ের সমস্যা কেটে যাওয়ার আশ্বাস দিলেন এ কর্মকর্তা।