শনিবার, ৩ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে ব্যবসায়ী কালিপদ আপন জুয়েলার্সের মালিকের মতই পুত্রের অপকর্মের প্রশ্রয় দিল!
লালমোহনে ব্যবসায়ী কালিপদ আপন জুয়েলার্সের মালিকের মতই পুত্রের অপকর্মের প্রশ্রয় দিল!
লালমোহন বিডিনিউজ, মিজানুর রহমান লিপু : লালমোহনে পুত্রের অপকর্মের প্রশ্রয় দিল ব্যবসায়ী কালিপদ। পুত্রের বিয়ে করা বউকে ঘরে না তুলে বিভিন্ন ভাবে হযরানী করে তার বিরুদ্ধে বদনাম রটানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাবা কালিপদ। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমদের মত পিতৃ দায়িত্ব পালন করতে পারেনি এই ব্যাবসায়ী। দিলদার আহমদ তার ছেলের অপকর্ম ঢাকতে যেমন দাম্ভিক্যের পরিচয় দিয়েছেন তেমনি কালিপদও তার ছেলের বিবাহিত বউকে এবং ছেলের আগত সন্তানকে রাস্তায় ঠেলে দিয়ে মনুষত্তের পরিচয় দিতে পারেন নি। খোজ নিয়ে জানাযায়, লালমোহনের এক সময়ের বিখ্যাত সুদখোর ও সুদের বিনিময় বন্ধকী বনে যাওয়া বর্তমানে বাজারের চাউল ব্যাবসায়ী কালিপদ তার অর্থের দাম্ভিক্যে নিজেকে আইন , সমাজ ,ধর্ম কোন মাধ্যমকেই তোয়াক্কা না করে পুত্রের অপকর্মের প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। তার একমাত্র পুত্র উজ্জল তার নারী লালসা মিটানোর জন্য বিয়ে করে নারী ভোগ করবে আর বাবা তার ষ্ট্যাটাস বজায় রাখতে পুত্রের বিবাহিত বউকে পরিচয় দিবেন না এঁটাই কালিপদের ধর্মে পরিনত হয়েছে। জানাযায় প্রায় বছর দেড়েক পূর্বে কালিপদের একমাত্র পুত্র উজ্জল নিজের কামনা বাসনা পুরনের জন্য ঢাকার গাজিপুরে দ্বীপ্তি রানী দাস নামে এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গরে তোলে। সুন্দরী মেয়ে দ্বীপ্তিকে তার বাবার বিলাস বহুল জীবনের পরিচয় দিয়ে মেয়ে কে আয়াত্বে আনার কৌশল গ্রহন করেন। উজ্জল তার বাবার একমাত্র পুত্র হিসেবে, তার মতামতই অভিভাবকের মতামত এমন আস্বাসের মধ্যে প্রেমের ৬ মাসের মধ্যে সে দ্বীপ্তি রানীকে সেখানকার শিব মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে। যার প্রমান বিভিন্ন ফটোগ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। বিবাহ পরবর্তী প্রায় ১ বছর তারা স্বামী স্ত্রীর মত একত্রে বসবাস করে এবং দ্বীপ্তির গর্ভে সন্তান আসে । দ্বীপ্তির সন্তান গর্ভের ৪ মাসের সময় উজ্জল সন্তান নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে পানিতে ঔষধ মিশিয়ে দ্বীপ্তির পেটের সন্তান নষ্ট করে দেয় । এরই মধ্যে দ্বীপ্তি উজ্জলের মতলব বুঝতে পারে। দ্বীপ্তি উজ্জলের লালমোহনে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসতে বললে, সে বিভিন্ন অযুহাত দেখায় এবং দ¦ীপ্তিকে বলে বিয়ের ব্যাপারটা বাবাকে ম্যানেজ করতে কিছুদিন সময় লাগবে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে সে দ্বীপ্তিকে লালমোহনে তার বাবা মায়ের কাছে নিয়ে আসবে। এদিকে উজ্জলের চলাফেরা ও কথাবার্তায় সন্দেহ সৃষ্টি হওযায় দ্বীপ্তি তার শ^শুড় বাড়ীর খোজেঁ লালমোহনে চলে আসে। শ^শুড় কালীপদ সংবাদ পেয়ে তার পুত্রবধূকে ঘরে না তুলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র আটতে থাকে এবং নিজের ব্যবসা বানিজ্য ও বাসাবাড়ী ফেলে লুকিয়ে/ পালিয়ে থাকে। শ^শুড় বাড়ীতে ঠাই না পেয়ে দ্বীপ্তি লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ভাইচ চেয়ারম্যান ফখরুল আলম হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামছুল আরিফ, উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের সভাপতি/ সম্পাদক সহ সকলের কাছে কালিপদের পুত্রবধুর স্বীকৃতির পাওয়ার চেষ্ঠা করেও কোন কুল কিনারা করতে পারে নি। এব্যাপারে দ্বীপ্তি বলে উজ্জল আমাকে ধর্মীয় নিয়মনীতি মেনে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছে। ঢাকার গাজিপুরে আমার সাথে এক বছর সংসার করেছে। আমার প্রথম সন্তান গর্ভের ৪ মাসের সময় উজ্জল নষ্ঠ করে দিয়েছে। বর্তমানে উজ্জলের দেড় মাসের সন্তান আমার গর্ভে। আমি নিজের জন্যে না হলেও সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য লালমোহনে শ^শুড় বাড়ীতে সামান্য আশ্রয় চেয়েছিলাম। আমার শ^শুড় কালিপদ দাস আমাকে পুত্র বধু হিসেবে ঘরে না তুলে আমার বদনাম সহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে এবং নিজে পালিয়ে থাকে। এদিকে উজ্জল এতদিন আমার সাথে যোগযোগ রাখলেও বর্তমানে সে তার বাবার কথামত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও কালীপদের পুত্র উজ্জল এর পূর্বেও তপতী নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। এদিকে লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ উজ্জলকে বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে সে, দ্বীপ্তিকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করে এবং তার বাবাকে ম্যানেজ করে দ্বীপ্তিকে ঘরে তুলে দিতে অনুরোধ করেন। উজ্জল তার বাবাকে ম্যানেজ করার পথ দেখিয়ে বলেন, আমার বাবা তার পার্টনার ব্যাবসায়ী নুরুল ইসলাম প্রিন্স এর কথা মানবে। তার কথা বাবা শুনবে, এবং তার মাধ্যমে দ্বীপ্তিকে ঘরে তুলে দেন। উজ্জলের সাথে কথা বলার পর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রিন্স এর সাথেও কথা বলেন। এত কিছুর পরও কালিপদ কোন উদ্দেশ্যে তার পুত্রের বউকে ঘরে তুলে নিতে পারে না তা বোধগম্য নয় সচেতন মহলের। এব্যাপারে দ্বীপ্তি অভিযোগ করে বলেন, আমি বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত। আমাকে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে উজ্জলের বাবা কালিপদ। আমাকে উজ্জলের জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে অর্থের প্রলোভন দিয়ে যাচ্ছে। আমার শ^শুর কালিপদ তার ছেলে উজ্জলের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখে আমাকে ও আমার সন্তানকে তাদের পথ থেকে সরে যেতে প্রানপন চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার সাথে উজ্জলের যোগাযোগের সকল পথ বন্ধ করে তারা বাপ-বেটা সর্বদা আমার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দ্বীপ্তি প্রতিবেদককে আরো বলেন,আমার ও আমার গর্ভের সন্তানের জীবনের যে কোন দূর্ঘটনার জন্য উজ্জল ও তার বাবা কালিপদ দায়ী থাকবেন। এব্যাপারে কালিপদ ও তার ছেলে উজ্জলের সাথে ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।শুনা যায় কালিপদ বর্তমানে দ্বীপ্তি হিন্দু না মুলমান এ ব্যাখ্যা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে মিডিয়া ম্যানেজ করা চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন দ্বীপ্তি হিন্দু না মুসলমান তার চেয়ে বড় কথা সে একজন বাঙ্গালী মেয়ে । মেয়েটি মুসলমান হলে উজ্জলেরও মুসলমান হওয়া উচিত বলে অনেকের অভিমত। তাহলে বুঝাযাচ্ছে কালিপদ ও ঢাকার আপন জুয়েলার্সের সেই দিলদারের মত বাবার অভিবাকত্ব করছে।