বুধবার, ৩১ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » রাজনীতি | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলা ৩ নির্বাচনী এলাকা - উন্নয়নে শাওন আর ফেজবুকে ব্যাস্ত মেজর জসিম
ভোলা ৩ নির্বাচনী এলাকা - উন্নয়নে শাওন আর ফেজবুকে ব্যাস্ত মেজর জসিম
লালমোহন বিডিনিউজ: ভোলা- ৩ (লালমোহন তজুমুদ্দিন) নির্বাচনী আসনে ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ছে মেজর জসিম। আওয়ামীলীগের কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে র্দীঘদিন অংশ গ্রহন করছেন না তিনি ।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি হন মেজর জসিম। দেড় বছর এমপি থাকার পর অবৈধভাবে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগে বিএনপি প্রার্থী মেজর হাফিজের করা এক মামলায় এমপি পদ হারান মেজর জসিম। দেড় বছর এমপি থেকে এলাকা ও এলাকার সাধারণ মানূষের ভাগ্য যেমন বদলাতে পারেননি অপরদিকে সেসময়ের বিএনপি দূর্গখ্যাত লালমোহন তৎুমদ্দিনের নির্যাতিত আওয়ামী লীগ কর্মীদের পাশে থাকতে পারেননি তিনি । তার সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে সূনামের চাইতে দূর্নামের চিএই এগিয়ে ছিল । আর এজন্য তিনি আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পাননি বলে মন্তব্য করেন লালমোহন তৎুমদ্দিনের প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা ।
প্রবীণ অনেক নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে, ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে লালমোহন তজুমদ্দিনে মেজর জসিম নির্বাচিত এমপি হলে ও কার্যত তার ভাই স্মরণ ছিলেন স্ব-ঘোষিত এমপি । তার অপকর্মের বৈধতা দিতে গিয়েই স্মরণে মরণ মেজর জসিমের ।
আর তাই শূন্য ঘোষিত লালমোহন তজুমদ্দিনের এ আসনে কর্মীবান্ধব ও অত্র এলাকার নির্যাতিত নিপিড়িত সাধারণ মানূষের পাশে থাকতে পারে এমন একজনকে খূঁজছিলেন লালমোহন তজুমদ্দিনবাসী।
অবশেষে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের দূত হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন আলহাজ¦ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন কে । ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল ভোলা - আসনের উপ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ কে ৫১,২১৫ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচত হন আলহাজ¦ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
নির্বাচিত হওয়ার পর এমপি শাওন এলাকা ও এলাকার সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত রাখেন । অপরদিকে সাধারণ মানুষ ও দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পরা মেজর জসিম উদ্দিন আহমেদ এলাকায় না এসে ঢাকায় বসে ফেইজবুক পেজে স্ট্যাটাচ নিয়ে মেতে রয়েছেন ।
এমপি শাওন তার নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও বিএনপি শাসন আমলে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর ও এলাকার উন্নয়নে নিয়োজিত থাকার ফলে অত্র এলাকার সাধরণ মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন । ফলে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে পূনরায় দলীয় মনোনয়ন পান তিনি । এমপি শাওনের রাজনৈতিক সূ কৌশল ও এলাকার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেয়ার ফলে বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় অনেক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেন ।
এমপি শাওন যখন অত্র এলাকার আওয়ামীলীগকে আরো সুসংঘটিত করার কাজে ব্যাস্ত তখনি মেজর জসিম উদ্দিন আহমেদ তার ফেইজবুক মনগড়া ষ্ট্যাটাচ দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় ব্যান্ত ।
তবু ও সব বাঁধা পেছনে ফেলে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের নির্ভরতার প্রতিক হয়ে এগিয়ে থাকবেন এমপি শাওন এমনটাই মন্তব্য স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের ।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা মিয়া জানান, আগের চেয়ে দল অনেক সুসংগঠিত। বর্তমান সংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন দলকে সুংসগঠিত করতে জোরালোভাবে কাজ করছেন। থানা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠন করায় দল এখন অনেক চাঙ্গা। আশা করি আগামী নির্বাচনে ও এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বিজয়ী হবে।