সোমবার, ২৯ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আতঙ্কে চরফ্যাসন উপকূলের সাধারণ মানুষ, ১০নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আতঙ্কে চরফ্যাসন উপকূলের সাধারণ মানুষ, ১০নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত
লালমোহ বিডিনিউজ : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ এমন খবরে ভোলার চরফ্যাসনে উপকূলজুড়ে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সমুন্দ্রবন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় ১০ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যাওয়ার খবরে এ জনপদের মানুষ আরও শঙ্কায় পড়েছেন। বঙ্গোপসাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে। সকল জেলেদের মাছ শিকার বন্ধ করে তীরে ফেরার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির (সিপিসি) কর্মীদের উদ্যোগে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত করতে পারে এমন শঙ্কায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সিপিবির সকল সদস্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনগণকে সতর্ক করতে প্রচারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছেন চরফ্যাসনের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ধ্যার আগে উপকূলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের খবরে উপজেলার বাঁধ ভাঙ্গা জনপদ ঢালচর, চরপাতিলা, কুকরি-মুকরি, চরমনুরা, চর হাসিনা, চর মন্তাজ, চর লক্ষি, চর লিউলিল, চর ষ্টিপিন, সিকদারের চর, চরমনোহর, চর তারুয়া, চর কালকিনিসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকসহ সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম আতঙ্কে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ‘সাত’ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ‘১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত’ দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মংলা বন্দরকে ‘৫’ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ‘৮’ নম্বর পুনঃ ‘৮’ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।