শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরায় মৌসুমের সর্বোচ্চ জোয়ারে ৭ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ১২ হাজার মানুষ
মনপুরায় মৌসুমের সর্বোচ্চ জোয়ারে ৭ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ১২ হাজার মানুষ
লালমোহন বিডিনিউজ ,সীমান্ত হেলাল, মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরায় অমবশ্যার প্রভাবে মেঘনার পানি বেড়ে যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে দুটি ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ন এলাকায়।
উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দ্বিপক জানান, বেড়ি বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বিশেষ করে সোনার চর ও চর যতিন এলাকার ৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এতে সেসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কোন শেষ নেই।
১ নং মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্যাহ আলমগীর জানান, জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের ৭ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে অন্তত ৬০টি পুকুরের ১০ লাখ টাকার মাছ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনার চর, দাসেরহাট ও চর যতিন এবং মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক, ঈশ্বরগঞ্জ, কুলাগাজীর তালুক ও আন্দির পাড় গ্রাম। এসব এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফসলের ক্ষেতসহ বিস্তীর্ন এলাকা ডুবে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মেঘনা পাড়ের ১২ হাজার মানুষ।
এ ব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কাওছার হোসেন বলেন, মনপুরার দুটি ইউনিয়ন মনপুরা ও হাজিরহাট এলাকায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ না থাকায় জোয়েরের পানি প্রবেশ করেছে। তবে আমরা জরুরি ভিত্তিতে এক কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ মেরামতের কাজ করছি।তিনি আরোও বলেন, বৃহস্পতিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ জোয়ার প্রবাহিত হয়। সাধারনত মেঘনায় স্বাভাবিক উচ্চতা থাকে ২২০ সেন্টিামিটার কিন্তু তা বেড়ে হয়েছে ৩২০ মিটার। অর্থাৎ বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার বেশী। এই মৌসুমে এমন জোয়ার আর দেখা যায়নি।