শনিবার, ৬ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত- ১ আহত-৫, থানায় হত্যা মামলা দায়ের
লালমোহনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত- ১ আহত-৫, থানায় হত্যা মামলা দায়ের
লালমোহন বিডিনিউজ,লালমোহন প্রতিনিধি: লালমোহনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় বদরপুর ইউনিয়নের চরটিটিয়া ৫নং ওয়ার্ডের হালদার বাড়ীতে মৃত: লালমিয়ার ছেলে মফিজ সহ তার ছেলে-মেয়ে কে তার বাড়ীতে মৃত মজু কেরানীর ছেলে শাজাহান গংরা এলোপাথারী কোপায় এবং গুরুতর আহত ও ব্যাপক রক্তক্ষরনে পরদিন শনিবার মফিজল ভোলা হাসপাতালে মৃত্যুবরন করে। এ ব্যাপারে মফিজলের বড় ছেলে মাসুদ জানায়, আমার বাবা মফিজল এলাকায় দিনমজুর হিসাবে কাজ করে। শুক্রবার আমার বাবা পাশর্^বর্তী হাওলাদার বাড়ীর মজু কেরানীর ছেলে শাজাহান হাওলাদারের দিন মজুর হিসাবে ধান কাটার কথা ছিল। ঐ দিন আমার বাবা অসুস্থ্য থাকায় শাজাহান গংদের ধান কাটতে যেতে পারেনি। এতে উত্তেজিত হয়ে সকালে তারা আমাদের হাস ধরে নিয়ে যায় এবং বিকাল ৩টায় শাজাহান, তার ভাই মতি, জাহাঙ্গীর, স্ত্রী রাবেয়া, ছেলে মামুন, সিরাজ, সিরাজের ছেলে বাবু, জাহাঙ্গীরের ছেলে কামরুল, আক্তার সহ ১০/১২জন আমাদের বাড়ীতে এসে আমাদের ঘরের জানালা কপাট ভেঙ্গে বাবাকে ঘর থেকে টানা হেচরা করে বের করে এবং সাবল, টেডা দিয়ে এলোপাথারী কোপায়। এ সময় আমি ও আমার বড় বোন বাবাকে বাচাতে আসলে আমাদেরকেও এলোপাথারী কোপায়। এতে আমি আমার বাবাসহ আমার বড় বোনের মাথায় ও চোখে একাধিক কোপ পড়ে। স্থানীয় লোকজন গরুতর অবস্থায় আমাদের কে লালমোহন সদর হাসপাতালে আনলে আমার বাবার আবস্থা আসংকাজনক ও ব্যাপক রক্তক্ষরন হওয়ায় ডাক্তার তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করে। পরদিন শনিবার সকাল ৮টায় আমার বাবা ভোলা হাসপাতালে মৃত বরন করে। এ ব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন শনিবার নিহতর বড় ছেলে মাসুদ বাদী হয়ে শাজাহান গংদের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মামলা নং-১০, আমরা আসামী ধরার জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। অন্যদিকে মাসুদ ও তার বড় মেয়ে গুরুতর অহত অবস্থায় লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ দিকে প্রতিপক্ষ শাজাহান গংরা পলাতক অবস্থায় থাকা তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।