মঙ্গলবার, ২ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাসনে শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ সালামের বিরুদ্ধে অনিয়ন ও দূর্নীতির তদন্ত শুরু
চরফ্যাসনে শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ সালামের বিরুদ্ধে অনিয়ন ও দূর্নীতির তদন্ত শুরু
লালমোহন বিডিনিউজ ,চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাসন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম’র বিরুদ্ধে অনিয়ন ও নারী নির্যাতন ঘটনাবলীর তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার চরফ্যাসন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে এ তদন্ত শুরু হয় । জনৈক এম মনিরুজ্জামানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানাগেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (প্রাক প্রাথমিক) ড. নাছিমা বেগম এই তদন্ত করেন। ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং চরফ্যাসন উপজেলার সাবেক শিক্ষা অফিসার তদন্ত কালে উপস্থিত ছিলেন।
জানাযায়, সদ্য জাতীয়করণকৃত উত্তর চর মোতাহার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা আকতারকে বাদ দিয়ে তদস্থলে জনৈক এমরান হোসেনকে শিক্ষক দেখিয়ে মন্ত্রনালয়ে কাগজপত্র দাখিল করা হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম মোটা অস্কের উৎকোচ নিয়ে এমন অপকর্ম করেছেন। যা নিয়ে উভয়পক্ষ উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন। শিক্ষক পদ নিয়ে এই টানাপোড়েন থেকেই অভিযোগের উৎপত্তি ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ড. নাছিমা বেগম জানান, সকল পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে। কাগজপত্রাদি নেয়া হয়েছে। যাচাই বাছাই করে দেখার পর আদালতকে ফলাফল অবহিত করা হবে। সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।
এদিকে আব্দুস সালাম চরফ্যাসন উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে যোগদানের পর অষ্টধাতু খ্যাত ৮ শিক্ষক নেতাকে ম্যানেজ করে শিক্ষা অফিসকে ঘুষ দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছেন বলে অভিযোগ আছে। এ নিয়ে সাধারন শিক্ষকদের মধ্যে অন্তহীন ক্ষোভ বিরাজ করছে। এসবের মধ্যেই রোকসানা ও এমরনা কেলেংকারীকে কেন্দ্র করে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে তদন্ত অনুষ্ঠান সব মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। যে আলোচনার সূত্র ধরে আরো অনিয়ম ও দূর্নীতির ঘটনা সমনে আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম বলেছেন, রোকসানার নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আমার অফিসে নেই। আমি যোগদানের আগেই তার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। আমি যোগদানের পর রোকসানার নিয়োগসংক্রান্ত ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে উচ্চ আদালতে মামলা ঠুকে আইনী সুযোগ নেয়া হয়েছে।