সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরীর নেওয়ার চেষ্টা
লালমোহনে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরীর নেওয়ার চেষ্টা
লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহনে প্রাইমারী স্কুলে অষ্টম শ্রেনীর ভুয়া সনদ নিয়ে পিওন পদে চাকুরীর পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায় গত মাসে, উপজেলার পূর্ব লালমোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিওন পদে চাকরী নিতে একই এলাকার মোঃ মফিজ এর ছেলে বিল্লাল হোসেন আবেদন করেন। ১৮ এপ্রিল যাচাই বাছাইয়ে তার আবেদন সঠিক বলে সিন্দ্বান্ত দেয় উপজেলা বাছাই কমিটি। একই পদের প্রতিদ্বন্দ্রী মোঃ কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিল্লালের অষ্টম শ্রেনীর সনদ ভুয়া। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম পর্যায়ে ২০১২ সালে যখন পিওন পদে নিয়োগ দেওয়া হয় তখন সে স্কুলে বিল্লালের চাকুরী হয় তার অষ্টম শ্রেনীর সনদ ভুয়া হওয়ায় নিয়োগ নিতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, ২০১২ সালে তার বিরুদ্বে উপজেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত করে অষ্টম শ্রেনীর সনদ ভুয়া প্রমানিত করেন এবং তৎকালীন উপজেলা নির্বহিী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন ২২/৪/২০১৩ সালে এক পত্রের মাধ্যমে চাকুরী হওয়ার প্যানেল থেকে তার নাম বাতিল করেন। এব্যাপারে বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ২০১৩ সালে ভোলা জজ আদালতে দেওয়ানী মামালা করেন এবং পরবর্তীতে বাদী নিজেই মামলা প্রত্যাহার করেন। তার মামলা নম্বর লাল/ ৫৩/ ২০১৩ । বর্তমানে তিনি আবারো সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরী নেওযার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। এব্যাপারে ২২/৪/১৭ তারিখে কামাল হোসেন সনদ জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিল্লালের বিরুদ্বে একটি অভিযোগ পত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সামছুল আরিেিফর হাতে ও অন্য একটি ডাক যোগে তার দপ্তরে প্রেরন করেন বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এদিকে বাদী বিল্লাল হোসেনের দেওয়ানী মামলার নথির ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে দেখা যায়, তিনি লালমোহন উপজেলার অফিস আদেশ স্মারক নং ১৭৩ তাং ২২/৪ /১৩ এর বিরুদ্বে তার সনদ ভুয়া প্রমানিত করায় প্রতিকার চেয়ে মামলা করেন। মামলার বিবরনে বাদী উল্লেখ করেন ৪নং বিবাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৭(৩) ধারার বিধান মতে তদন্ত সাপেক্ষ্যে প্যানেল ভূক্ত প্রার্থী হিসেবে তার সার্টিফিকেট ভূয়া প্রমানিত হওয়ায় ২২/৪/১৩ তারিখে চিঠি ইস্যু করে প্রার্থী বিল্লালের কাছে প্রেরন করেন। তার মামলায়ই প্রমানিত হয় ২০১২ সালে তার বিরুদ্বে তদন্তে ৮ম শ্রেনীর সাটিফিকেট ভূয়া প্রমানিত হয়।এ চিঠিকে বেআইনি, বিধি বহিভূত,ভাক্ত,এখতিয়ার বহির্ভূত প্রকৃত সত্যেও বিপরীত উল্লেখ করিয়া বিল্লাল হোসেন ১৩/৬/ ২০১৩ তারিখে পূর্ব লালমোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খানম, এটিও সুজন হাওলাদার, বিদ্যালয়ের সভাপতি তৈয়ব,লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সচিব, প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার লালমোহন, সহ ৯ জনকে বিবাদী করে দেওয়ানী মামলা করে। অভিযোগের ব্যাপারে বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি ২০০৫ সালে লালমোহন কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেনী পাশ করেছি। আমার সনদে কোন সমস্যা নেই।