লালমোহনে জিপ ড্রাইভারের উপর অটো চালকদের হামলা ও ছিনতাই

লালমোহন বিডিনিউজ ,লালমোহন প্রতিনিধি : লালমোহনে মোঃ বেলাল হোসেন (২২) নামের এক জিপের ড্রাইভারের উপর অটো চালকদের হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে ।
রবিবার বেলা আনুমানিক ১২টার সময় উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের দালাল বাজার নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
জানা যায়, লালমোহন টেম্পু মালিক সমিতির অধীনে দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর্যন্ত উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সাধারন মানুষের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে লালমোহন টেম্পু স্ট্যান্ড থেকে মঙ্গল শিকদার, লর্ডহার্ডিঞ্জ, রায়চাঁদ ও তজুমদ্দিন রুটে যাত্রীবাহি টেম্পু সার্ভিস দিয়ে আসছে লালমোহন টেম্পু মালিক সমিতি ।
সে সময় অটো বা ইজি বাইক ছিলনা কিন্তু বর্তমানে অটো ও ইজি বাইক থাকায় এবং টেম্পু মালিক সমিতির গাড়ীর সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে রায়চাঁদ ও তজুমদ্দিন রুটে অটো চালকদের যাত্রী পরিবহনের সূযোগ দেওয়া হয় এবং মঙ্গল শিকদার ও লর্ডহার্ডিঞ্জ রুটে নিয়মিত যাত্রীসেবা দিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান টি।
প্রতিদিনের মত আজ ও লালমোহন টু লর্ডহার্ডিঞ্জ রুটে যাত্রীবাহী জিপ নিয়ে লর্ডহাডিঞ্জ থেকে লালমোহনের উদ্দেশ্যে রওনা করেন জিপ ড্রাইভার মোঃ বেলাল হোসেন।
পথিমধ্যে চতলা কাজির বাজার এলাকায় এসে পৌছলে দেখেন স্থানীয় অটো চালক মোঃ কামাল হোসেন জিপের পথ আটকিয়ে রেখে অটোতে যাত্রী উঠাচ্ছেন । এমতাবস্থায় জিপ ড্রাইভার বেলাল অটো চালককে বাঁধা দিতে গেলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় অটো চালক কামাল এবং সে যাত্রী নিয়ে দালাল বাজার এলাকায় এসে তার ভাই নুরুল ইসলাম সহ আরো প্রায় ১৫/১৬ জন অটো চালকদের জড়ো করে রাস্তায় কাঠের আসবাব ফেলে জিপের পথ আটক করে।
দালাল বাজার এলাকায় জিপটি এসে থামানোর সাথে সাথে জিপ ড্রাইভার বেলালের উপর অতর্কিত হামলা চালায় তারা । এসময় বেলালের সাথে থাকা লালমোহনের ত্রিশ হাজার টাকা ও তার গলার চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।
এ ব্যাপারে হামলা ও ছিনতাইয়ের শিকার মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, আমি জিপ নিয়ে দালাল বাজার এলাকায় পৌছলে অটো চালকরা আমার জিপের সামনে কয়েকটি টুল দিয়ে আমাকে আটক করে ফেলে এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে এলোপাথারী মারধর করে আমার কাছ থেকে লালমোহনের চাল আড়ৎদারের গচ্ছিত ত্রিশ হাজার টাকা ও আমার গলার স্বর্নের চেইন নিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।
এ ঘটনায় দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্বে লালমোহন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে ও জানান বেলাল হোসেন ।
বর্তমানে বেলাল হোসেন লালমোহন সদর হাসপাতালের ৯নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।