শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » নাব্যতা সংকটে ভোলা-ঢাকা নৌ-রুট, দ্রুত ড্রেজিংয়ের দাবি
নাব্যতা সংকটে ভোলা-ঢাকা নৌ-রুট, দ্রুত ড্রেজিংয়ের দাবি
লালমোহন বিডিনিউজ ,ভোলা প্রতিনিধি :শীত মৌসুমের শুরুতেই নাব্যতা সংকটে পড়েছে ভোলা-ঢাকা, ভোলা-বরিশাল নৌ-রুট। এ নৌ-রুটের বিভিন্ন স্থানে ডুবোচরের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচলকারী লঞ্চ ও ফেরিগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেনা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য দ্রুত ড্রেজিংয়ের দাবি সংশ্লিষ্টদের। আর এ অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়।
শীতের শুরুতেই মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি কমে যাওয়ায় জেগে উঠেছে নদীর মাঝে ডুবোচর। বিশেষ করে ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার ভাটার সময় অনেকটা শুকিয়ে যায়। নাব্যতা সংকটে ভোলার চরফ্যাসনে তেতুঁলিয়ার নদীর ঘোষের হাট ঘাটে ঢাকা গামী লঞ্চগুলো প্রায়৩/৪ কিলোমিটার ঘুরে ঘাটে আসতে হয়।এছাড়া কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও ফেরিগুলো নদীর মধ্যে ঘণ্টার পর আটকে থাকছে। ফেরি চলাচল করছে জোয়ারের ওপর নির্ভর করে। এতে সময় ও বিড়ম্বনা বেড়েছে।নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচলে সমস্যার কথা জানিয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক মো. আবু আলম হাওলাদার শিগগিরই ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জরুরী ভিত্তিতে এসমস্ত স্থানগুলি ড্রেজিং করা দরকার। আমরা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এবং ফোন করে অনুরোধ করেছি। নাব্যতা সংকটের সমাধান হলে ফেরিগুলির ট্রিপ বাড়বে। তবে সম্প্রতি ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট পরিদর্শনে এসে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান জানান, ড্রেজিং করে নৌ-রুটগুলো সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান আছেন, ইঞ্জিনিয়ার আছেন তারাই ঠিক করবেন এখানে ড্রেজিং কিভাবে করা যায় এবং তাদের সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।ভোলা থেকে প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল রুটে অর্ধশতাধিক ছোট-বড় লঞ্চ ও ৫টি ফেরি চলাচল করে।