শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাসনে শীতের আগমনে লেপ-তোষক কারিকররা ব্যস্ত সময় পার করছে
চরফ্যাসনে শীতের আগমনে লেপ-তোষক কারিকররা ব্যস্ত সময় পার করছে
লালমোহন বিডিনিউজ,কামরুজ্জামান শাহীন চরফ্যাসন: শীতের আগমন। তাই বসে নেই লেপ-তোষক সেলাইয়ের কারিকররা চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চলছে লেপ-তোষক সেলাইর মহাউৎসব। শীত মৌসুম এলেই অন্তত ৪টি মাস তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় যে কোন সময়ের চেয়ে কয়েক গুন বেশী। তাই তারা অন্য সময়ের রোজগার পুশিয়ে নিতে এ ৪টি মাস কাজ করেন সমান তালে। বাকী ৮ মাস এ কাজের চাহিদা না থাকায় লেপ-তোষক সেলাইয়ের কারিকররা অন্য কাজে মনোনিবেশ করে। কেউ নেমে পড়ে রিক্সা ভ্যান চালাতে, কেউ মাঠে দিন মুজুরের কাজ নেয়, আবার কেউ কেউ তাদের সুবিধামত বেছে নেয় অন্য পেশ। বৃহস্পতিবার কথা হয় চরফ্যাসনে পৌর শহরের লেপ-তোষক ও যাজিম ব্যবসায়ী মফিজ মিয়ার সাথে।
মফিজ মিয়া বলেন, বছরের অন্যান্য সময় মাসে ২/৪ জন যাজিম কিনতে আসলেও লেপের চাহিদা একে বারেই থাকেনা। শীতের শুরু থেকে অন্তত ৪টি মাস লেপ-তোষক ও যাজিম বেশী বিক্রি হয়ে থাকে। সব থেকে বেশী বিক্রি হয়ে থাকে লেপ। যে কারণে চাহিদার কথা মাথায় রেখে লেপ সিলাই কারিকরদের সংখ্যাও বাড়াতে হয় কয়েক গুন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমার এখানে ৫/৬ জনের উপরে লেপ সেলাইয়ের কারিকর রয়েছে। অন্য সময় এ ব্যবসা ধরে রাখতে মাত্র ২/৩ জন লেপ-তোষক ও যাজিম সেলাইয়ের কাজ করে থাকে। শীত মৌসুম শেষ হলেই এখানে কাজ না থাকায় বাকি লেপ সেলাই কারিকররা অন্য পেশায় চলে যায়।
এখানে পাইকারী দামে হকারদের কাছে রেডিমেট লেপ-তোষক ও যাজিম বিক্রি করা হয়। হকাররা ইঞ্জিন চালিত আলমসাধুতে লেপ যাজিম সাজিয়ে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাড়ে ৭ থেকে ৮শ’ টাকা দরে প্রতিটি লেপ ও ৯শ’ থেকে হাজার টাকায় যাজিম বিক্রি করে। পাশাপাশি এখানে ভাল লেপ তৈরীর অর্ডারও নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে লেপ অনুযায়ী দাম ১ হাজার থেকে ১৩শ’ টাকা পড়ে। শশীভূষণের লেপ-ত্ষেক ও যাজিম লেপ ও যাজিম ব্যবসায়ি নুরে আলমও অভিন্ন কথা বলেন। সেলাই কারিকর কামাল হোসেন বলেন, প্রতিদিন তারা পাঁচ থেকে ছয়টি লেপ-তোষক সেলাই করে থাকেন। লেপ অনুযায়ী প্রতিটি লেপে তিনি মুজুরী পান ৮০ থেকে ১শ’ টাকা। আমরা সেলাই কারিকররা সবাই একই নিয়মে মুজুরী পেয়ে থাকি।
অপর সেলাই কারিকর হান্নান বলেন, সেলাই কাজ করলে অন্তত ৪টি মাস কোথাও কাজের জন্য ধর্ণা দিতে হয় না। ছায়ায় বসে সেলাইয়ের কাজ করতে বেশ ভালই লাগে। দিন শেষে চার থেকে পাঁচ শত টাকা রোজগার হয়। শীত মৌসুম শেষে অন্য কাজে গেলে প্রতিদিন গড় রোজগার ২শ টাকা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই সংসার চালানো কঠিন হয়ে যায়। যে কারণে এ মৌসুমে রোজগার অনেকটা পুশিয়ে নিতে আমরা ৪মাস লেপ সেলাইয়ের কাজ করে থাকি।