রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে ওসির বাড়িতে হামলা ও লুটপাট –আহত- ৪
লালমোহনে ওসির বাড়িতে হামলা ও লুটপাট –আহত- ৪
লালমোহন বিডিনিউজ ,মিজানুর রহমান লিপু : লালমোহনে ফরাজগঞ্জ এলাকায় বরিশাল গৌড়নদী থানার ওসি মিলনের বাড়ীতে প্রতি পক্ষের হামলায় ওসির ভাতিজা আরিফ,ভাবি রেখা বেগম সহ ৪ জন গুরতর আহত হয়েছে। আরিফ সহ তার মা রেখা বেগম বর্তমানে লালমোহন হাসপাতালে মূমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি হয়ে কাতরাচ্ছে।
জানাযায়, দক্ষিন ফরাজগঞ্জ ৮নং ওয়াডের্র পাটোয়ারী বাড়িতে প্রায় মাস খানেক পূর্বে আঃ রব কারীর ছেলে সাবেক মেম্বার মোস্তফার সাথে ওসি মিলনের চাচতো ভাই কামালের হাসঁ নিয়ে বিরোধ হয় এবং সে সময় মোস্তফা গংরা কামাল সহ তার মায়ের মাথায় আঘাত করে আহত করে। ১৮ই নভেম্বর শুক্রবার সকালে এলাকার বর্তমান চেয়ারম্যান সেলিম মৃর্ধা সেই বিবাধের ফয়সালায় বসলে মোস্তফা এলাকার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে পরিকল্পতি ভাবে হামলা করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখে । এক পযার্য়ে মোস্তফা , তার বাবা আ ঃরব কারী,মোস্তফার ছেলে মাকসুদ,ভাতিজা তানবির , ক্যাডার কামরুল সহ দল বল ওসির ভাতিজা আরিফের উপর অতির্কিত হামলা করে। আরিফ দৌড়ে ঘরে ডুকে গেলে মোস্তফা সহ ক্যাডার বাহিনী ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে পূনরায় আরিফের উপর হামলা করে তার পা ভেঙ্গে দেয় ও মাটিতে ফেলে চটতে থাকে। তাকে বাচাঁতে তার মা রেখা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও বেদম মারপিট করে আরিফকে উঠিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। খবর পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এব্যাপারে আরিফের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে মোস্তফা সহ চার জনকে আসামী করে লালমোহন থানায় মামলা করলে পুলিশ মোস্তফার বাবা আ ঃরব কারী ও ছেলে মাকসুদ কে গ্রেফতার করে। বর্তমানে পুলিশ প্রধান আসমী মোস্তফা সহ অন্য আসামীদের ধরার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।এব্যাপারে আরিফ বলেন, আমার উপর মোস্তফা সহ তার বাহিনী পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে । আমাকে তারা হত্যার চেষ্টা করে । আমি দৌড়ে ঘরে প্রবেশ করলে তারা ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং আমার উপর আবারো হামলা করে আমার পা ভেঙ্গে গিড়া ছুটিয়ে ফেলে ও মাটিতে ফেলে চটতে থাকে এবং পরবর্তীতে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে আমার মা সহ বাড়ীর লোকজন বাধা দিলে তাদের উপড়ও হামলা করে তাদেরকে আহত করে।এদিকে ক্যাডার বাহিনী বাড়ীতে হামলা করলে ভয়ে ওসি মিলনের নব্বই উর্ধ্ধ বয়সী বাবা সুলতান আহমেদ চেয়ারম্যান ও মা লতিফা খাতুন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বর্তমানে কর্মরত একজন ওসি (থানা অফিসার্স ইনচার্জ) এর বাড়িতে যদি ক্যাডার বাহিনী মধ্যযুগীয় নগ্ন হামলা করতে পারে তাহলে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা কোথায় এমন প্রশ্নই সচেতন মহলের।