রবিবার, ১০ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় | প্রবাস | শিরোনাম | সর্বশেষ » থাই জঙ্গল থেকে আরো ১২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার: জাতিসংঘের উদ্বেগ
থাই জঙ্গল থেকে আরো ১২৩ বাংলাদেশি উদ্ধার: জাতিসংঘের উদ্বেগ
লালমোহন বিডি নিউজ ডেস্ক: থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সোঙ্খলা প্রদেশের একটি জঙ্গল ও খাউকেউ পর্বত থেকে পৃথকভাবে আরও ১২৩ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমারের ২৬ জন নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়। সন্দেহভাজন মানবপাচারকারী একটি চক্রের সদস্যরা তাদের থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা সোমকিয়াত ওস্তাফুন জানান, একটি পাহাড়ের ওপর থেকে ওই অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচা আঞ্চলিক মানব পাচার সঙ্কট সমাধানে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে সোঙ্খলা প্রদেশে পাচারকারীদের একটি শিবিরে গণকবরের সন্ধান পেয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই গণকবর থেকে ৩০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে তাদের থাইল্যান্ডে পাচার করা হয়েছিল বলে আগেই এক বিবৃতিতে জানানো হয়। এদিকে, গতকাল সোঙ্খলা প্রদেশের হাতইয়াই ও রত্তাফাম এলাকার কাছাকাছি খাও কেউ পর্বত থেকে আরও ৩২ বাংলাদেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, স্থানীয় পুলিশ ও কর্মকর্তারা রত্তাফাম এলাকার একটি জঙ্গলের কাছ থেকে তাদের শনাক্ত করে। এদের সবাই ছিল ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত। ৩২ জনের প্রত্যেকেই পুরুষ। তাদেরকে প্রথমে বান খলোঙ স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রত্তাফাম জেলা কার্যালয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এর আগে উদ্ধারকৃত ১১৭ জন অবৈধ অভিবাসী একই আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।
জাতিসংঘের উদ্বেগ: থাইল্যান্ডের জঙ্গলে একের পর এক অবৈধ অভিবাসীদের গণকবর পাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একটি প্রতিবেদনে মানব পাচারের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরার পর জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, বঙ্গোপসাগর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানবপাচারের ঘটনা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ ঘটেছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনিয়মিত সমুদ্রপথে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়া পৌঁছানোর আশায় ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে যাত্রা করছেন হাজারো মানুষ। অবৈধপথে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া পৌঁছানো ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এসব যাত্রায় এ বছরের প্রথম তিন মাসে ৩০০ ব্যক্তি মারা গেছেন। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে মারা গেছেন মোট ৬২০ জন। এদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে ক্ষুধা-তৃষ্ণা আর নির্যাতনে। অনেকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথাও বলেছেন।