বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » খানা-খন্দকে ভরা শশীভূষণ-গজারিয়া সড়ক,জনদূর্ভোগ চরমে
খানা-খন্দকে ভরা শশীভূষণ-গজারিয়া সড়ক,জনদূর্ভোগ চরমে
লালমোহন বিডিনিউজ ,কামরুজ্জমান শাহীন,চরফ্যাসন :ভোলার চরফ্যাসনের শশীভূষন-গজারিয়া বাইপাশ সড়কটির বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। ১৬ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে খানা-খন্দকের কারণে পথচারী ও যানবাহন চালকেরা পরছে চরম দূর্ভোগে। ১৬ কিলোমিটার সড়কটির ১০ কিলোমিটরেই শত শত খানা-খন্দকে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন এই বাইপাশ সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহন হাজার হাজার যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে শশীভূষণ-গজারিয়া এ বাইপাশ সড়কটি নিমার্ণ করেন। এ সড়কটি প্রায় ১ বছর ধরে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তার পর থেকে পরিবহন মালিক ও যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
শশীভূষনের আটে টেম্পু ড্রাইভার মো. মারুফ জানান, সড়কের বেহলা দশার কারণে আধা ঘন্টা পথ বর্তমানে যেতে এখন ২ঘন্টা সময় লাগে। মাঝে মধ্যে গাড়ির চাকা পামচার,যান্ত্রীক সমস্যা সহ গর্তে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থাকতে হয় টেম্পু নিয়ে।
গজারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী ও যাত্রী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাঝে মাঝে সড়কের মাঝে খানা-খন্দকে যানবাহন আটকিয়ে সকল যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সড়কটি মেরামতের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।আব্বাস নামের এক যাত্রী বলেন, মাঝে মাঝে সড়কের মাঝে খানা-খন্দকে যানবাহন আটকিয়ে অন্য সকল যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।
এ বাইপাশ সড়কটি লালমোহন ও চরফ্যাসন উপজেলা মধ্যে অবস্থিত। সড়কটিতে মাঝে মাঝে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে গর্ত এত বড় যে প্রায় যানবাহন উল্টে যায়। দ্রুত এ বাইপাশ সড়কটি দুর্ঘটনা এড়াতে সংস্কার করা দরকার বলে দাবী সাধারন যাত্রীদের। শশীভূষন ও গজারিয়া টেম্পু সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ বাবুল সিকদার বলেন, সড়ক বেহাল হওয়ায় প্রতিদিন দু, একটি দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনই যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চরফ্যাসন উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) মো. সোলাইমান বলেন, শশীভূষণ-গজারিয়া সড়ক সংস্কারের প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। বর্তমানে টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।