শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাসনে মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা, ১০ দিনেও চাল পাননি জেলেরা
চরফ্যাসনে মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা, ১০ দিনেও চাল পাননি জেলেরা
লালমোহন বিডিনিউজ ,কামরুজ্জমান শাহীন,চরফ্যাসন : ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয় মা ইলিশ ধরার উপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা ৯দিন পেরিয়ে গেলেও চরফ্যাসন উপজেলা তালিকাভুক্ত ১৬ হাজার ৬জন জেলের ভাগ্যে এখনো চাল সহায়তা মেলেনি। জেলেরা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ ছাড়া অন্য কোনো কাজ না জানায় চরম অর্থ সঙ্কটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ডিমওয়ালা ইলিশ ধরার উপর টানা ২২ দিন সরকারী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে চরফ্যাসনের উপকূলীয় মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে। জেলেরাও মৎস্য অধিদফতরের সহায়তার আশায় নদীতে ইলিশ শিকারে নামছেন না। তাদের এ কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার এ ২২ দিনের জন্য খাদ্য সহায়তা বাবদ ভিজিএফ কর্মসূচির আওয়তায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু এ সহায়তার দিতে দেরি করায় জেলেরা দূচিন্তায় রয়েছে।
চরফ্যাসনের জেলেদের নেতা আনোয়ার বলেন, সরকার চাল দেবে এই আশায় এবার নদীতে নামেননি জেলেরা। কিন্তু ১০দিন শেষ হলেও সহায়তা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে জেলে পল্লীর কয়েক হাজার মানুষ বড় কষ্টে আছেন। যদি এখনই দ্রুত জেলেদের চাল না দেয়া হয় তাহলে পরিবারের দুশ্চিন্তায় বাধ্য হয়েই নদীতে মাছ শিকারে নামবেন জেলেরা। এতে সরকারের ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।
চরফ্যাসন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলেদের ভিজিএফ চালের ডিওতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষক করেছেন, দু, একদিনের মধ্যেই খাদ্য গুদামে ডিও পৌছলে চাল বিতরণ করা হবে।
উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ হালদার বলেন, উপজেলায় মোট তালিকাভুক্ত ১৬হাজার ৫জন জেলে রয়েছে। তালিকাভুক্ত জেলেদের আগামী দুই একদিনের মধ্যে উপজেলার ১৬ হাজার ৫ জেলে পরিবারকে সরকারি বরাদ্দের ২০ কেজি করে চাল সহায়তা দেয়া হবে।