বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে নির্দোষ ব্যক্তিকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করার অভিযোগ
লালমোহনে নির্দোষ ব্যক্তিকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করার অভিযোগ
লালমোহন বিডিনিউজ ,লালমোহন প্রতিনিধি : লালমোহনে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনার সাথে জরিত নয় এমন ব্যক্তিকে মামলায় জরিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কয়ছর আহাম্মদ পাটওয়ারী বাড়ীতে ১অক্টোবর শনিবার বিকাল আনুমানিক পৌনে চারটার দিকে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারপিটের ঘটনায় প্রতিপক্ষের আঘাতে ৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া মাদ্রাসা ছাত্র হাসনাইন,তার ভাই জাবেদ,পিতা মোস্তফা পাটওয়ারী,মাতা ফজিলত বেগম আহত হলে তাদের কে লালমোহন হাসপাতালে আনা হয়। আহত হাসনাইনের অবস্থা আশংকাজনক বিধায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে সেখান থেকে বরিশাল শের- ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১.৩০ মিনিটের দিকে মৃত্যুবরন করেন। এঘটনায় নিহতের পিতা মোস্তফা পাটওয়ারী বাদী হয়ে ২-১০-১৬ইং তারিখে লালমোহন থানায় ১০জন সহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে বিবাদীকরে একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং ০২। উক্ত মামলায় হেলাল উদ্দিন পাটওয়ারীকে শক্রতামুলক ভাবে অন্যের প্ররোচনায় আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মুলত মারপিটের এ ঘটনার সাথে হেলাল কোনভাবে জড়িত নয় বলে স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়। নিহতের পরিবার তথা মামলার বাদীর সাথে হেলালের জমিজমা কিংবা অন্য কোন বিষয়ে কোন বিরোধ নেই বলেও জানাযায়। হেলাল জানান ছিদ্দিকুর রহমান পাটওয়ারী ও তার পুত্র আফছুর রহমানের সাথে আমার বিরোধ থাকায় তারা কৌশলে আমাকে এই মামলায় আসামী করে মুলত মামলার বাদী মোস্তফা পাটওয়ারী চিকিৎসাধীন থাকার কারনে ছিদ্দিকুর রহমান পাটওয়ারীর মাধ্যমে থানায় মামলা হয়।এই সুযোগটুকু কাজে লাগিয়ে ছিদ্দিক পাটওয়ারী আমাকে আসামীকরে দিয়েছে। আমাকে আসামী করার বিষয়টি মামলার বাদী জানতেন না। মামলার বাদী মোস্তফা পাটওয়ারী জানান আমি হেলালকে আসামী করতে চাইনি, তার সাথে আমার কোন ঝগড়া ঝাটি নেই। বিভিন্নভাবে খবর নিয়ে জানাযায় হেলালের বিরোধী পক্ষ্য ছিদ্দিকুর রহমান এর পুত্র আফছুর রহমান পুলিশে চাকরি করেন এবং তিনিই ষড়যন্ত্র করে হেলালকে ফাসাঁতে আসামী করায়। এ মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি চায় হেলাল ।