শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » বোরহানউদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ ও স্বজনের জেল
ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ ও স্বজনের জেল
লালমোহন বিডিনিউজ ,বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানে পৃথক ৩টি অভিযান চালিয়ে ২টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন নির্বাহি কর্মকর্তা। অপর অভিযানে বাল্য বিবাহ দেওয়ার অপরাধে মোট ৪জন স্বজনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও ৩ জনকে জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার বিকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ও কুতুবা ইউনিয়নে এবং সোমবার দৌলতখান উপজেলায় পৃথক ৩টি অভিযান চালান বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে থাকা মো. আ. কুদদূস।
এ সময় তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো শিক্ষার্থী সুমা (১৬) ও তানিয়া বেগম (১৩)। সুমা বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মনির’র মেয়ে এবং তানিয়া দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের জামাল হোসেনের মেয়ে।
এ সময় বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে বর-কনের বাবা মা সহ ৪ স্বজনদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল এবং অপর ৩ জনকে জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আ. কুদদূস জানান, বড় মানিকা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মনির’র মেয়ে সুমার সাথে একই গ্রামের সবুজের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ সংবাদে তিনি কনের বাড়িতে হাজির হন। তার উপস্থিতিতে অন্যরা পালিয়ে গেলে ও কনের সুমার মা তাছনুকে ১৫দিনের বরের মা রিজিয়া বেগমকে ৭দিনের জেল এবং ফুফু সেতারা বেগমকে ১০০০টাকা জরিমানা করেন। একই দিনে কুতুবা ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ দেওয়ার অপরাধে বর হান্নান এর বাবা সফিজলকে ১৫দিনের, ভগ্নিপতি জামালকে ২১দিনের এবং নানা মজিবলকে ১০০০টাকা জরিমানা করেন।
অপর দিকে সোমবার দৌলতখান উপজেলার তানিয়ার সাথে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের সালাউদ্দিনের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিলো এমন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি কনের বাড়িতে হাজির হন। তার উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও বরের বাবা গা ঢাকা দেন। বিয়ে বন্ধ করে তিনি মোবাইল কোর্ট বসিয়ে মেয়ের বাবা ও মাকে ১ হাজার করে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তানিয়াকে সংশ্লিস্ট ইউনিয়নের মেম্বার মো. ইউনুছের জিম্মায় দেন।