শনিবার, ৯ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরায় হাসপাতালে টেম্পু গাড়িতে আনা-নেওয়া হচ্ছে রোগী, বাড়ছে প্রাননাশ, বছর ধরে এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট,
মনপুরায় হাসপাতালে টেম্পু গাড়িতে আনা-নেওয়া হচ্ছে রোগী, বাড়ছে প্রাননাশ, বছর ধরে এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট,
সীমান্ত হেলাল, মনপুরা :ভোলার মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা এটি। কিন্তু প্রতিনিয়ত নূন্যতম সেবা না পেয়ে ভরসা নিরাশায় পর্যবসিত হচ্ছে। এখানে রোগী আনা-নেওয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘ ১ বছর যাবত নষ্ট হয়ে পরে আছে। এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় জরুরী কিংবা মুমূর্ষ রোগীকে হাসপাতালে আনতে হয় টেম্পু গাড়িতে করে। এতে রোগীদের প্রান নাশের শঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। চারদিকে নদী বেষ্টিত দ্বীপ উপজেলার মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
এ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে পরে থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে টেম্পু গাড়িতে করে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছে উপজেলা হাসপাতালে। উপজেলার সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ছে গর্ভবতী মায়েরা। অনেক সময় টেম্পুর ঝাঁকুনিতে গর্ভবতী মায়েদের জীবনের শংকা দেখা দেয়। তখন হাসপাতালে কোন চিকিৎসা দিতে না পেরে প্রেরণ করা হয় জেলা হাসপাতালে। ফের টেম্পু করে রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাট থেকে ঢাকার লঞ্চে যেতে হয় জেলা সদর হাসপাতালে। জেলা হাসপাতালে পৌছাতে দেরী হওয়ায় অনেক সময় মা ও অনাগত সন্তানকে জীবন দিতে হয় পথেপথে।
টেম্পু গাড়িতে করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী রহিমার স্বামী কাঞ্চন মাঝি জানান, উপজেলা থেকে ১৫ কি.মি. দূরে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে তার বাড়ি। স্ত্রী রহিমা প্রসব বেদনায় কষ্ট পাচ্ছে। এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট তাই বাধ্য হয়ে টেম্পুতে নিয়ে এসেছি হাসপাতালে। ডাক্তার বলছে টেম্পুর ঝাঁকুনিতে সমস্যা বেশি হয়েছে তাকে জরুরি ভিক্তিতে জেলা হাসপাতালে নিতে হবে।
রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাটে দেখা মেলে গুরুত্বর অসুস্থ রোগী রিয়াজের। জরুরী চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হবে ঢাকায়। উপজেলা হাসপাতাল থেকে টেম্পু গাড়িতে করে আনা হয়েছে ঘাটে। রিয়াজের অভিভাবক জানান, টেম্পুর ঝাঁকুনিতে রোগী পথিমধ্যে ব্যাথায় চিৎকার করছে। এ্যাম্বুলেন্স থাকলে এ সমস্যা হতো না।
মনপুরার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগী মিলি, শাবানা, মরিয়ম, কুদ্দুস সহ অনেকে জানান, এ্যাম্বুলেন্স না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে টেম্পু ও ভ্যান গাড়িতে করে চিকিৎসা নিতে আসে হাসপাতালে। আরোও বলেন, এত বড় হাসাপাতে রোগী আনা-নেওয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পরে আছে। এতে যেন কারো মাথা ব্যাথা নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা গওজ নেওয়াজ জানান, দ্বীপাঞ্চলে রোগী পরিবহনে টেম্পু গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে অনেক সময়ে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এ্যাম্বুলেন্সটি ভালো থাকলে রোগীদের উপকার হতো। তাছাড়া এখানকার বরাদ্ধকৃত নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি একপ্রকার ছিনতাই করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।