বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে সাজানো নাটক
লালমোহনে রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে সাজানো নাটক
লালমোহন বিডিনিউজ ,মিজানুর রহমান লিপু : লালমোহনে ঘুষখোর ম্যানেজার আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে সাজানো তদন্তের অভিযোগ রয়েছে। গত রবিবার রূপালী ব্যাংকের বরিশাল অঞ্চলের প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ সাখাওয়াত ও আঃ মোতালেব তদন্ত করতে এসে দালালদের দৌড়াত্মের সাথে সুর মিলিয়ে তদন্ত করতে দেখা যায়। তদন্ত কমিটি লালমোহনে আসলে ম্যানেজারের ঘুষ বাণিজ্যের সাথে জড়িত দালাল চক্র তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করে। গত বুধবার ম্যানেজার আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় ঘুষ বাণিজ্যের খবর প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে আসে এ কর্মকর্তারা। একটি আর্থিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তদন্তকালীন সময় কিভাবে দালাল চক্র ব্যাংক ম্যানেজারের পক্ষে দালালী করায় তদন্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তদন্তে দেখা যায়, তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা যেনো ঘুষখোর আবুল কাশেমকে বাঁচাতে এসেছে। তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা আবুল কাশেমের পক্ষে দালাল চক্রের সাথে সুর মিলিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লিখিত নেয়। অথচ ভুক্তভোগী শিক্ষকরা যারা আবুল কাশেমের কাছ থেকে এস.এম.ই লোন নিতে লাখ প্রতি তিন হাজার টাকা ঘুষ দেন তারা অভিযোগ দিতে চাইলেও তা গ্রহণ করেননি তদন্ত কমিটি। এমনকি সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলেও তদন্ত কমিটি তার অনুমতি দেননি। তদন্তকালে ম্যানেজার আবুল কাশেমের ভাই লালমোহন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মোঃ মনির হোসেন ও তার ভাই আবুল কালাম, দালাল তরিক সহ সুবিধাবাদি শিক্ষক নেতারা ম্যানেজারের পক্ষে ছাফাই গাওয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের ব্যাংকের মধ্যেই ঘিরে রাখে, যাতে অভিযোগকারীরা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিতে না পারে। এতে অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী ভেদুরিয়া সেরাজিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক শাহে আলম, সহকারী শিক্ষক আঃ রহমান, চতলা হোসাইনিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সামছুদ্দিন, সৈয়দ আহাম্মেদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহে আলমসহ অন্যান্য শিক্ষক এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী লালমোহন হেলিপ্যাড নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম. এ. হালিম চৌধুরীসহ প্রায় কয়েকশত শিক্ষক তদন্তকে সাজানো নাটক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং তারা অভিযোগ করে বলেন তদন্ত কর্মকর্তারা মূলত ঘুষখোর ম্যানেজার আবুল কাশেমকে বাঁচাতে এসেছেন দূর্নীতি বন্ধ করতে নয়।