বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাশনে কোরবানীর পশুর দাম আকাশ ছোঁয়া
চরফ্যাশনে কোরবানীর পশুর দাম আকাশ ছোঁয়া
লালমোহন বিডিনিউজ ,কামরুজ্জমান শাহীন চরফ্যাশন : চরফ্যাসন উপজেলা সদরসহ, শশীভূষণ,দুলার হাট,চেয়ারম্যান বাজার, কেরামতগঞ্জ , আনঞ্জুর হাট বাজার ও দক্ষিণ আইচা বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানীর পশুর দাম আকাশ ছোঁয়া দেখে হতাশ ক্রেতারা।ঈদুল আযহার আর মাত্র ৫দিন বাকী। এরই মধ্যে ক্রেতারা পছন্দের গুরু-ছাগল দেখা শুরু করেছেন। এখনও ক্রয় বিক্রয় শুরু না হলেও বিভিন্ন হাট বাজারে ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে। অনেকে পশু কিনেও ফেলছেন।বেশীরভাগ ক্রেতাই বাজার দর দেখার জন্য বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরছেন।এদিকে, বিভিন্ন হাট বাজারে ক্রেতার চাইতেও দালালদের দৌরাত্ম্য বেশী দেখা গেছে। দালালরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে। আবার পেশাদার গরু ব্যবসায়ীর পাশাপাশি মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও মাঠে তৎপর। ফলে মালিকরা অধিক দামে গরু বিক্রি করার লোভে বেশী দাম দাবী করছে বলে জানা গেছে। গরু মালিকদের ধারনা অধিক ক্রেতার কারণে বেশী দাম পাবে তারা। বেপারীরা বেশী দর হাঁকার পর জমে ওঠেছে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো।
ইতোমধ্যে, উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন গরু বাজারে কোরবানীর বিশেষ বাজার ও নির্ধারিত বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের হাটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার নিয়মিত হাট বাজারগুলোতে একমাস আগে থেকে কোরবানীর আমেজ শুরু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিয়মিত পশুর হাট রয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২/১টি নিয়মিত পশুর হাট বসে। কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে এবার উপজেলায় ১০টির মত গরু হাট বাজার বসবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এসব হাট বাজারে প্রায় ২০/৩০ হাজার গরু ছাগল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।কোরবানীর পশু বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মোটাতাজা করার অভিযোগ রয়েছে। ফলে অনেক ক্রেতা পশু কিনতে যাচাই বাচাই করছেন। কোরবানীর আগে ইনজেকশান পুশ করে মোটাতাজা করা গরু ক্রয় না করে দেশী গরু কেনার প্রতি আগ্রহী ক্রেতারা। আজ বুধবার থেকে বিভিন্ন বাজারে জমজমাট বেচা-কেনার সম্ভাবনা রয়েছে জানালেন কয়েক জন গরু ব্যবসায়ী। বর্তমানে যে দাম চাওয়া হচ্ছে শেষ পর্যন্ত সে দাম থাকবে না বলে উল্লেখ করেন আরও কয়েক জন ব্যবসায়ী। প্রাথমিক অবস্থায় বেশী দাম হাকা হলেও বেচা কেনা যখন চুড়ান্ত পর্যায়ে যাবে তখন দামও কমে যাবে বলে জানান তারা।
এদিকে, চরফ্যাসনের মানুষের চাহিদার চাইতেও বেশী গরু ছাগল এ উপজেলায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রাণি সম্পদ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে গরু ছাগলের খামার রয়েছে। এসব খামার থেকে কোরাবানীর ঈদে কয়েক শত পশু বাজারে তোলা হবে জানা গেছে। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারে ২/১টি গরু পালন করা হয়। কোরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য এসব গরুগুলো বাজারে তোলা হবে। ফলে প্রথম দিকে কোরবানীর পশুর বেশী দাম থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।