বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় কৃষি জমিতে রাতের আধাঁরে ঘর নির্মান করে দখল!
ভোলায় কৃষি জমিতে রাতের আধাঁরে ঘর নির্মান করে দখল!
লালমোহন বিডিনিউজ ,ভোলা প্রতিনিধি :ভোলার সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের কামরুন নাহার পক্ষের কৃষি জমিতে পারুল বিবি পক্ষ রাতের আঁধারে দখল করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিধবা কামরুন নাহার (৭০) বলেন, তিনি পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের পন্ডিত বাড়ির পুত্রবধু। তার শশুর থেকে পাওয়া ১২০ শতাংশ (মৌজা-পাঙ্গাশিয়া, খতিয়ান-৪৮/১০৪/২৮৯, দাগ-১৬৯/১৭০/১৭১/২২৪/২২৬) জমি একই গ্রামের পারুল বিবিকে লগ্নি দেওয়া হয় আবাদ করার জন্যে। গত কয়েক বছর সে লগ্নির টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং জমির মালিকানা দাবি করে। জমি ফিরে পেতে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক ২৯ সেপ্টেম্বর সালিশ বসার দিন ধার্য করে পারুল বিবিকে নোটিশ পাঠায়। পারুল বিবি পরিষদকে উপেক্ষা করে লোকজন নিয়ে রাতের আঁধারে কৃষি জমির মধ্যে গত বৃহষ্পতিবার ঘর তুলে দখল নেয়। এ ঘটনা লিখিত আকারে ভোলা সদর থানায় অভিযোগ করলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াসিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দখলের সত্যতা পান বলে জানান। কিন্তু গত সাত দিনেও থানা পুলিশ ওই জমি দখল মুক্ত করতে পারেননি। এ অবস্থায় তিনি সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বলেন, কামরুন নাহার একটি আবেদন করলে তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর সালিশের দিন ধার্য করেন। সে নির্দেশ উপেক্ষা করে পারুল বিবি রাতের আঁধারে ঘর তুলেছেন। এখন তিনি আদালতে মামলা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) মো. ইয়াসিন বলেন, দখলকারী পারুল বিবিকে তাঁর পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে শনিবার ভোলা সদর থানায় আসতে বললে তারা আসেননি। আর নির্বাহী হাকিমের অনুমতি ছাড়া একজনের ঘর উচ্ছেদ করা যায় না।
পারুল বিবি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি কামরুন নাহারের বড় ছেলে রফিকুর ইসলামকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন জমিটি কেনার জন্যে, কিন্তু জমির দলিল না দেওয়ায় আমি দখল করেছি।