বুধবার, ৩১ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনের কচুয়াখালীতে ৫ হাজার মানুষের জন্য ২ টি টিউব ওয়েল
লালমোহনের কচুয়াখালীতে ৫ হাজার মানুষের জন্য ২ টি টিউব ওয়েল
লালমোহন বিডিনিউজ ,বিশেষ প্রতিনিধি জুয়েল :লালমোহন উপজেলার তেতুঁলিয়া নদীর র্তীরে চর উমেদ ইউনিয়নের চর কচুয়াখালীর অবস্থান। শত বছর আগে জেগে উঠে চরটিতে প্রায় ৩৬ বছর আগে ১৯৮০ সালে দিকে জনবসতি শুরু হলেও ১৯৯০ সালের দিকে এ চরে ঘন জনবসতি ও মানুষের সমাগনে মুখরিত হয়। ৫টি আবাসন, ৮টি গুচ্ছ গ্রাম এবং প্রায় দুই শতধিকেরও বেশি কাঁচা ও পাকা ঘরবাড়িতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষের বসবাস। এখানকার মানুষের আয়ের উৎস্য মৎস্য শিকার ও কৃষি কাজ। আর কয়েকটা চরের চেয়ে ভিন্ন এ চরের মানুষের জীবন যাত্রা। এ চরে জনবসতি বসবাস শুরু হলে তখন তারা খাল ও নদীর পানি ফুটিয়ে পান করতো। আর তখন আসুক-বিসুক লেগেই থাকতো। প্রায় ১০ বছর আগে এ চরে মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য সরকারিভাবে ১০ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। প্রায় ৫ বছর আগে ১০ টির মধ্যে ৭ টি টিউবওয়েল বিভিন্ন সমেস্যায় সম্পূর্ণ বিকল ও ১টি আরসিনিক উঠার কারনে বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষের ব্যবহার করার জন্য অবশিষ্ট থাকে দুইটি টিউবওয়ের। যার কারনে এক কলসি টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য গৃহবধূদের প্রায় প্রতিদিনই ১ তেকে দুই কিলোমিটার পথ হাটতে হয়। আর বর্ষা মৌসুমে কাদা মাটির মধ্যে হেটে যেতে হয়। তখন তাদের দুঃখের শেষ নেই। তার পর আবার পানির জন্য পড়ে দীর্ঘ লাইন। আবার কখনো ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয় এক কলসি পানির জন্য। বিশুদ্ধ পানি আনার জন্য চরের নারী-পুরুষের এ যেন এক চড়ম দুর্ভোগ। কিন্তু তারপরেও তাদের কোন উপায় নেই। জীন রক্ষার্থে এ চরের দুইটি টিউবওয়েল পানিই তাদের একমাত্র ভরসা। আধুনিক যুগে বাস করেও তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে মান্দাতারা আমলের মতই। এ অবস্থায় চর কচুয়াখালীর বাসির অভিযোগ, এ সংকট র্দীঘ কয়েক বছর ধড়ে চলে আসলেও জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারের দপ্তরের কোন কর্মকর্তারা তাদের খোজ খবর নেয়নি।
স্থানীয় গৃহবধূ শিরিনা, বকুল, আয়েশাসহ একাধিক গৃহবধূরা জানান, প্রতিদিন এই বর্ষার মধ্যে কাঁদা ও পানির মধ্যে এক কলসি পানির লইগা ১ মাইল পথ হাডন লাগে। আইজ পর্যন্ত কোন সরকার, চেয়ারম্যান আমাগো কোন খোঁজ নেয়না।
এ ব্যাপারে কথা বলতে চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু ইউসুফের একটি বেসরকারি অফিসে প্রতিবেদককে বসে থাকতে হয় কয়েক ঘন্টা। এ বিষয়ে সাংবাদিকের সামনে প্রথমে কথা বলতে চাননা তিনি। পরে, কথা বললেন তিনি।
তিনি জানান, চরের অনেক টিউবওয়েল নষ্ট আছে। যদি কচুয়াখালীতে টিউবওয়েলের বেশি প্রয়োজন হয় তবে দেখবো দেওয়া যায় কিনা।
এদিকে, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে ওই ইউপি চেয়ারম্যান কখনো তাদের খোজ-খবর নেয় না বলে এলাবাসির অভিযোগ।
তবে, অচিরেই চর কচুয়াখালী মানুষের টিউবওয়ের সমেস্যা দুর করার আশ্বাস দিলেন লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামছুল আরিফ ।