সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » এনসিটিবি’র নকল বই উদ্ধার ভোলার পাঠ্যক্রমে নিন্মমানের বই অন্তর্ভুক্তি করার অভিযোগ
এনসিটিবি’র নকল বই উদ্ধার ভোলার পাঠ্যক্রমে নিন্মমানের বই অন্তর্ভুক্তি করার অভিযোগ
লালমোহন বিডিনিউজ ,এম শরীফ হোসাইন, ভোলা : ভোলায় পুস্কক বিক্রয় লাইব্রেরীগুলোতে নকল ও নিন্মমানের বই বিক্রয়ের হিড়িক পরেছে। এমনকি এনসিটিবি’র বইকেও নকল করছে বিভিন্ন প্রকাশনী। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল ও মেধা অর্জন করতে পারছেনা। তাই এসকল নাম সর্বস্ব প্রকাশনীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারী ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ভোলার হাসান বুক হাউজ, সুজন বুক হাউজ, আশ্রাফ বুক হাউজ, স্টার বুক হাউজসহ বিভিন্ন লাইব্রেরীগুলোতে নকল ও নিন্মমানের বই বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এবার জাতীয় শিক্ষা পাঠ্যক্রম (এনসিটিবি)’র নকল বই এসকল লাইব্রেরীগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা সমিতি ঢাকা’র ৫ সদস্য বিশিষ্ট এশটি প্রতিনিধি দল ভোলায় এসে গত ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোলার লাইব্রেরীগুলোতে তল্লাসী চালিয়ে নিউ হাসান বুজ হাউস, সুজন বুক হাউস, আশ্রাফ বুক হাউস, স্টার বুক হাউস থেকে এনসিটিবি’র নক বই উদ্ধার করে। ওই বইগুলোর মধ্যে ছিল এইচএসসির বাংলা সহপাঠ ও ইংরেজী, লেকচারের পৌরনীতি, সিসটেকের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, আল-ফাতাহ’র দাখিল সাজেশন্স ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকাশনির নিন্মমানের বই বিক্রি করা হচ্ছে। যার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রকৃত মেধা ও জ্ঞান অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন।
অভিযোগে আরো জানা যায়, ভোলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও শিক্ষক সমিতিগুলোর নেতৃবৃন্দকে নাম সর্বস্ব বিভিন্ন কোম্পানী মোটা অংকের অর্থসহ নানান উপঢৌকন দিয়ে তাদের নিন্মমানের বইগুলো শ্রেণীর পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এ ব্যাপারে ভোলার পুস্তক বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মাহাবুব মোর্শেদ বাবুল জানান, নকল ও নিন্মমানের বই বিক্রি না করার জন্য ভোলার সকল লাইব্রেরীর মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও যদি কেউ নকল বই বিক্রি করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, যাদের কাছ থেকে নকল বই উদ্ধার করা হয়েছে, তাদেরকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ওইসব নকল ব্ইগুলো নস্ট করে দেয়া হয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে ভোলার কোমলমতি শিক্ষার্থীদৈর অভিভাবকগণ দাবী তুলেছেন নকল ও নিন্মমানের বই বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারী বৃদ্ধি এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবী জানিয়েছেন।