রবিবার, ২১ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্বে গ্রেফতারী পরোয়ানা
লালমোহনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্বে গ্রেফতারী পরোয়ানা
লালমোহন বিডিনিউজ ,মিজানুর রহমান লিপু : লালমোহনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে ভোলা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালের বিচারক। মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, লালমোহন উপজেলার লেজ ছকিনা গ্রামের মৃতঃ সুলতান মাতাব্বরের ছেলে ও মধ্য চরটিটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক ০৪/০৪/১৫ তারিখে অনুমান সন্ধা ৭ টায় একই বাড়ির আঃ মান্নানের ১২ বছরের মেয়ে কে ঘরে একাকী পেয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মেয়ের ডাক চিৎকারে তার বাবা -মা সহ স্থানীয় লোকজন ফারুককে উলঙ্গ অবস্থায় মান্নানের ঘরে তার মেয়ের সাথে হাতে নাতে ধরে ফেলে ও আটকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে তার ভাই আবুল কালাম ও ফারুক নিজে মান্নান সহ তার স্ত্রীকে মার পিট করে স্বর্নের চেইন সহ প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে চলে আসে। এব্যাপারে মান্নান ২০/৪/১৫ তারিখে লালমোহন থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানায় মামলা গ্রহন না করায় ১৭ /৫/১৫ তারিখে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে বিচার চেয়ে আবেদন করলে বিচারকের নিদের্শে ঐ দিনই লালমোহন থানা ফারুককে প্রধান আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯(৪)(খ) তৎসহ দঃবিঃ ৩২৩/ ৩৭৯ ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ১০১/১৫। আদালত ০৪/০৮/১৬ তারিখে উক্ত মামলায় আসামী ফারুকের বিরুদ্বে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। আরো অভিযোগ সুত্রে জানা যায় এই প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ ও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তার সংসার ভেঙ্গে দেয়। এ ছাড়াও ফারুক সহ তার ভাই আবুল কালামের বিরুদ্বে ঢাকার যাএাবাড়ী থানায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার চরআলকী গ্রামের তালুকদার বাড়ীর সরোয়ারের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে ১৯/০৫/১৫ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ৩৮/২০১৫। বর্তমানেও এই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাদের সাথে বিভিন্ন কুকর্মের প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন বলে এই মর্মে ৫ জন সহকারী শিক্ষকা/ শিক্ষক ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে ০৯/০৮/১৬ ইং তারিখে অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও ফারুকের বিরুদ্বে প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।এদিকে মধ্য চরটিটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুকের মোবাইল নাম্বার ০১৭১১৫৭৭৫৭৩ তে একাধিক বার ফোন করে অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি । শিক্ষকতার পেশাকে কুলষিত করায় তার বিরুদ্বে এলাকার ছাত্র অভিবাক সহ স্থানীয় জনতা ফুসেঁ উঠেছে। তাকে গ্রেফতার সহ তদ্বন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকার সচেতন মহল।