
শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাশনে বোরকা পরে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা
চরফ্যাশনে বোরকা পরে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা
লালমোহন বিডিনিউজ ,চরফ্যাসন প্রতিনিধি:ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নে বোরকা পরে বসতঘরে ঢুকে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে ওই কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ হেফাজতে ওই কিশোরীকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবু তাহেরের স্ত্রী, আবু কালাম, মো. খলিল, সেলিনা বেগম নামের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। কিশেরীর মা বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার স্বামী বাজারে যাওয়ার পরে ঘরে তার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েসহ ওই কিশোরীকে রেখে তিনি পান আনার জন্য পাশের বাড়ি যান। কিছুক্ষণ পরে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটিও তার পেছনে পেছনে ওই বাড়িতে যায়। ঘরে তখন তার কিশোরী মেয়েটি একাই ছিল।
তিনি বলেন, ঘণ্টাখানেক পরে ফিরে এসে দেখি আমার মেয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। জানাতে চাইলে সে আমাকে জানায়-,একজন লোক বোরকা পরে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। এর পর আর কিছু মনে নেই।এদিকে মেয়েটি একজনের কথা বললেও চিকিৎসকরা বলছেন কয়েকজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তাদের ধারণা, প্রথমে একজন মেয়েটিকে ধর্ষণ করলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। এর পর কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধর্ষিতা কিশোরীর ভাই জানান, সে বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবু তাহেরের স্ত্রী, আবু কালাম, মো. খলিল, সেলিনা বেগমকে আটক করেছে। নজরুল নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন হাওলাদার ও ইউপি সদস্য মো. বশির জানান, রাত সাড়ে ৮ টার সময় তারা গণধর্ষণের সংবাদ পেয়ে ধর্ষিতাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান,রুবেল নামের এক যুবক ধর্ষিতাকে জরুরী কথা শোনার জন্য পাশের মীরা বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে সেলিনার সহযোগিতায় কিশোরীকে ৬/৭ জনে ধর্ষণ করে।এমনকি যৌনাঙ্গে পেন্সিল ব্যাটারী ডুকিয়ে দেয়। সেলিনার সহযোগিতায় তার বাসায় পৌছানো থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় বলে সেলিনা বেগম পুলিশক কাছে স্বীকার করেছেন। পুলিশ ধর্ষক রুবেল ও আবু তাহেরকে আটক করতে না পারলেও রুবেলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে ।
চরফ্যাশন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আলামত দেখে বোঝা যায়- মেয়েটিকে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করেছে।দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) হানিফ সিকদার বলেন, সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যহত আছে। তিনি বলেন, মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ থাকায় তার কাছ থেকে পুরো বিষয়টি জানা যায়নি। ফলে মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।